<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘হাসিনাকে হটিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়েছি। কিন্তু তার ম্যাকানিজম এখনো আছে। তার সাঙ্গোপাঙ্গরা এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় বারণ- আমরা এটা দূর করতে চাই।’</p> <p style="text-align:justify">বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর মুক্তমঞ্চে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">আব্দুল কাদের আরো বলেন, ‘পাশের রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে ন্যায্য ও সমতার। তবে কোনো ধরনের নতজানু সম্পর্ক হবে না।’</p> <p style="text-align:justify">এই সমন্বয়ক জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেকের পরিবারে একটি করে চাকরি দেওয়া হবে। ফাউন্ডেশন গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই ফাউন্ডেশন থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">সমন্বয়ক হামযা মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আলী আহমেদ আরাফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক জিয়া উদ্দিন আয়ান, নিহতদের পরিবারের পক্ষে সাইদুর রহমান, শাহজাহান মোল্লা, ইসরাত জাহান প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">জিয়া উদ্দিন আয়ান তার বক্তব্যে বলেন, ‘ভারতের কাছে আর মাথানত নয়। এটা ছাত্রদের প্রতিনিধির সরকার। আস্থা রাখতে হবে এ সরকারের প্রতি। আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর আগে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’</p> <p style="text-align:justify">এ সময় বক্তারা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে গর্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাকে বের করে এনে ফাঁসি দিতে হবে। এ জন্য সরকারকে চাপ দিতে হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের চাপে রাখতে হবে। প্রয়োজনে আবার আন্দোলনে নামতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">বক্তারা আরো বলেন, ‘আন্দোলনের সময় সারা দেশে পুলিশ নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে। এমনভাবে সাজাতে হবে যেন- গুলি করা তো দূরের কথা, কোনো পুলিশ যেন চোখ রাঙিয়ে কথা বলতে না পারে।’</p> <p style="text-align:justify">আন্দোলনে নিহত তানজিন মাহমুদ সুজনের বোন ইসরাত জাহান বলেন, ‘পুলিশ নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমার ভাইসহ ছয়জনকে হত্যার পর পিকআপ ভ্যানে করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যেন চেনা না যায়। সঙ্গে থাকা স্কুলের আইডি দেখে ভাইকে চিহ্নিত করা হয়। আমি আমার ভাইসহ সব শহীদের বিচার দাবি করছি।’</p>