<p>আজ দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে ইসলাম ধর্মের অন্যতম উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রতিবেশী, আত্মীয়, বন্ধু সবাই হন একসঙ্গে। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে উৎসবে যোগ দেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা, ভাগ করে নেন আনন্দ। এমন দৃশ্যের দেখাও মিলেছে<br /> পার্বত্য এলাকার মানুষের মধ্যে।</p> <p>ধর্ম পরিচয়ে নয়, মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখা হয় ঈদে। উৎসবকে অর্থবহ করে তুলতে পারলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তার আপন সৌন্দর্যকে সমুন্নত রাখতে পারবে।</p> <p>পার্বত্য এলাকায়  ছোটরা যেমন কর গুনে গুনে ঈদের  জন্য অপেক্ষা করে, একইভাবে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা আর সরস্বতী পূজার জন্যও দিন গোনে। সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকয় ঘিরে দেখা যায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঈদ উদযাপনের চিত্র। </p> <p>সামিয়া আক্তার পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রী। শহীদ লে.  মুসফিক বিদ্যালয়ে পড়ে। সে তার চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বন্ধুদের ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়েছে। কোলাকুলি করেছে ঈদে, দাওয়াত দিয়েছে বাসায়। বন্ধুরাও তাকে বিভিন্ন পূজাতে দাওয়াত দেয়।</p> <p>ঈদে স্কুল বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে উসাসিং মারমা জানায়, ঈদে তার মুসলিম বান্ধবীদের সে ঈদ মোবারক জানিয়েছে। এক সাথে বেড়াতে গেছে। সে মনে করে ঈদের আনন্দ সবার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1398336"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘কুড়িয়ে আনা’ মাংসের বাজারে নিম্নমধ্যবিত্তের ভিড়" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/17/1718626914-16c3338ca09e2db463902705ffe69df6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">‘কুড়িয়ে আনা’ মাংসের বাজারে নিম্নমধ্যবিত্তের ভিড়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/06/17/1398336" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সোনামনি চাকমা বলে, ঈদপূজা, খ্রিষ্টানদের বড়দিন বা বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা- যে কোনো পার্বণ উপলক্ষ্যে আমরা যদি ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে পরস্পরের জন্য শুভ কামনা করতে পারি। তাহলে তো জয় হবে মানবতারই।</p> <p>ধর্মরক্ষিতা বৌদ্ধ বিহারের পঞঞাসারা ভান্তে বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব হবে সবার। পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘকাল সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঈদের আনন্দে সবাই খুশি হোক। অনালোকিত জনগোষ্ঠীকে আলোতে আনতে হবে আবহমান বাঙালির অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1398331"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে কারণে রোহিতের দিকে তেড়ে যান তানজিম" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/17/1718624417-d515dc95be25e9e1402d10e15171dc23.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">যে কারণে রোহিতের দিকে তেড়ে যান তানজিম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/06/17/1398331" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হাজাপাড়া নুরানি ও হিফয মাদরাসার পরিচালক মাও. গোলাম মোস্তফা বলেন, আজকে ঈদের নামাজ শেষে আমরা এ দেশের সকল ধর্মের মানুষের জন্য দোয়া করেছি। আল্লাহ সকলে ভালো রাখুক। সবাই যদি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, তাহলে অধুনা ঈদ আনন্দে পার্বত্য এলাকার নাগরিকদের জীবনে অনেক রূপান্তর ঘটবে।</p> <p>শিক্য মারমা বলেন, আমরা এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করি। ঈদে আমারা মুসলিম প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে যাই। তারাও পূজা-পর্বনে আমাদের বাড়িতে আসেন।</p>