<p style="text-align: justify;">কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে গত বছরের তুলনায় এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছর এ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে কুমিল্লা বোর্ড থেকে এ বছর জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী। গত এ সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৬২৩ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৯ হাজার ৯৯৮ জন। অতীতের মতোই জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এবারো এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ ছাড়া গড় পাসের হারেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কিছুটা ভালো করেছে। যদিও ছেলেদের চেয়ে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি।</p> <p style="text-align: justify;">রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো.আসাদুজ্জামান। </p> <p style="text-align: justify;">তিনি জানান, এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১২ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ে ৬ হাজার ৮৩৬ আর ছেলে ৫ হাজার ২৬৪ জন। গত বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১ হাজার ৬২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৪ হাজার ৭০৫ জন আর মেয়ে ৬ হাজার ৯১৮ জন ছিল।<br />  <br /> কুমিল্লা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা গঠিত। এ বছর ওই ৬টি জেলার ১ হাজার ৭৮০টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ছেলে ৭৪ হাজার ৭৩০ এবং মেয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯৫ জন। এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮১ জন। এর মধ্যে ছেলে ৫৮ হাজার ৭৮২ এবং মেয়ে ৮৩ হাজার ২৯৯ জন। </p> <p style="text-align: justify;">গত বছর ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৭৭ হাজার ১০০ এবং ছাত্রী এক লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এক লাখ ৪৩ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬০ হাজার ৭৪৭ ছাত্র ও ৮২ হাজার ৪৬৯ ছাত্রী।</p> <p style="text-align: justify;">পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো.আসাদুজ্জামান জানান, এবার পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরে এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এবার ৬ জেলার ৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। গত বছরে এই সংখ্যা ছিল ৭৯টি। তবে এ বছর পাসের হার শূন্য এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।<br />  </p>