<p style="text-align: justify;">পিরোজপুরে পৃথক দুই ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল ও আটকে রাখা ভিকটিমসহ ৩১০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">মামলার বিবরণে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার সময় শহরের কৃষ্ণচূড়ার মোড়ে কিশোর গ্যাংয়ের ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ অন্য একটি গ্রুপের এক কিশোরকে একা পেয়ে লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল, চাপাতি ও হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।</p> <p style="text-align: justify;">পুলিশ খবর পেয়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে চায়নিজ কুড়াল, চাপাতি, হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মোসা. শিউলি বেগম (৪২) বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।</p> <p style="text-align: justify;">অপর এক ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে কিশোর-কিশোরী বলেশ্বর নদীর পাড়ে ঘুরতে যায়। এ সময় অপর একটি কিশোর গ্যাং তাদের একসঙ্গে দেখে ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলে। এ ঘটনায় তারা মেয়ের সঙ্গে থাকা ১৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। আর তারা ছেলেটাকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে তার পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ৩১০০ টাকা চাঁদা দেয়। কিন্তু চাঁদার পরিমাণ কম হওয়ায় তারা ছেলেটাকে আটকে রাখে।</p> <p style="text-align: justify;">এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো. লিয়াকত আলী সরদার (৪৫) বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে রাজারহাট এলাকার বলেশ্বর নদীর তীরে ওয়াপদার পাড়ে শামিম ভিলা থেকে উদ্ধার করে এবং ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাতুল ইসলাম তূর্য (২০), দিব্য মৃধা (২০), শান্ত দত্তকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।</p> <p style="text-align: justify;">অভিযানে পিরোজপুর সদর থানার এসআই জিন্নাত আলী, রণজিত সরকার, সিদ্দিক হোসেন, আ. রহিমসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স অংশগ্রহণ করেন।</p> <p style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ মুকিত হাসান খান বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের বাকি সদস্য ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।</p>