<p>চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম সুগার মিলের আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিকেল ৪টার লাগা আগুনে রাত ১১ পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন মোহাম্মদ আলম (৩০) নামে এক শ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন।</p> <p>সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলে এ আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।</p> <p>আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কারখানার দায়িত্বরর্ত প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসমত জানান, আগুনে মোহাম্মদ আলম (৩০) নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তিনি কারখানায় কাজ করছিলেন।</p> <p>এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরো কয়েক লাখ টন।</p> <p>কারখানার একজন কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিস গুদামের ওপর থেকে পানি ছিটাতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পাশে কিন্তু নদী রয়েছে। পানির অভাব নেই। হেলিকপ্টারের সাহায্যে আগুন নেভানো হলে হয়তো ফিনিশড গুডের গুদাম রক্ষা করা যাবে। বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>আগুন নিয়ন্ত্রণে আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক।</p> <p>রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভাগীয় কমিশনার, উন্নয়ন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, আগুন এখনো কারখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাহিরে আগুন লাগার কোনো সম্ভবনা নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে নৌ-বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটও কাজ করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>কারখানা সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১-এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২-এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।</p> <p>এর আগে গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে এস আলমের আরেকটি গুদামে আগুন লেগেছিল।</p>