<p>হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক মূল সড়কের পাশ থেকে একটি রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি শনাক্ত করেছে তার পরিবার। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের (বড় বাড়ির) মরহুম আবুল কালাম আজাদের বড় পুত্র মো. আলমগীর মিয়া (৪০)। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে স্থানীয় পথচারীরা লাশটি দেখতে পান।</p> <p>ভোররাতেই নবীগঞ্জ ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ইন্সেপেক্টর সামছুদ্দিন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন। </p> <p>এদিকে মো. আলমগীর মিয়ার মৃত্যুতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে  পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। আর এটা হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতেই রাস্তার পাশে এভাবে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। </p> <p>মো. আলমগীর মিয়ার ভাই রুনেল জানান, তার ভাই বেগমপুর গ্রামে একটি বাড়িতে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করতেন। তিনি ওই বাড়িতেই যান। রুনেল বলেন, যেভাবে রাস্তায় আমাদের ভাইয়ের লাশকে ফেলে রাখা হয়েছে এবং শুধুমাত্র মাথায় আঘাত করা হয়েছে- এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যদি সড়ক দুর্ঘটনা হতো তাহলে শুধু মাথায় আঘাত নয় সম্পূর্ণ শরীরে একাধিক স্পট থাকত। আমরা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। আমরা হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। </p> <p>ইনাতগঞ্জ ফাড়ির ইনচার্জ মো. সামছুউদ্দিন জানান, রাতে কোনো গাড়ি থাকে চাপা দিলেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে সড়ক দুর্ঘটনার চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা। তবে নিহত পরিবার যদি মামলা দায়ের করে সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝতে পারবো এটা পরিকল্পিত হত্যা, নাকি সড়ক দুঘটনা। </p>