<p>ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবাধে চলছে গণপরিবহন। মানছে না সরকারি নির্দেশনা লকডাউন। এসব গণপরিবহনে যাত্রীসাধারণ করোনাভাইরাসকে তোয়াক্কা না করেই চলাচল করছেন। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও পুলিশ প্রশাসন দেখছে না। এমনকি রূপগঞ্জে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে গণপরিবহন।</p> <p>প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা থাকলেও বন্ধ হয়নি ভূলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানবাহন।</p> <p>সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও মানছেন না এখানকার গণপরিবহনের চালকরা।</p> <p>আজ রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার ভূলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পিকআপ, লেগুনা সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন। যাত্রীদেরও ভিড়ও দেখা গেছে প্রচুর। এদের মধ্যে গার্মেন্ট কর্মী ও দূর জেলার যাত্রীও রয়েছেন। </p> <p>কথা হয় স্থানীয় রবিনটেক্স এ কর্মরত শ্রমিক মিলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার কাজে প্রয়োজনে বের হতে হয়। আগের মতো বাস না থাকায় বেশি দাম দিয়ে পিকআপে ভ্রমণ করি। তবে খুব ভিড় থাকায় আতঙ্কে থাকি।</p> <p>গাউছিয়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিকে অনেক মানুষ কিছুই মনে করছে না। লকডাউন মানছে না। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন চলতে দেখছি। মানুষের ভিড়ও কম না। সরকারের নির্দেশিত লকডাউন পালন না করলে সবাই অনিরাপদ হয়ে পড়বো। তাই পুলিশ প্রশাসনের টহল বাড়ানো উচিত।</p> <p>এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন আজহার বলেন, কিছু যানবাহন চলছে। মানুষজন যেন লকডাউন মানে থানা পুলিশ মাঠে কাজ করছে।  </p>