<p>ঘর মানুষের মনের প্রতিচ্ছবি। একটি সুন্দর পরিপাটি ঘর মনের অজান্তেই আমাদের মানসিক শান্তি এনে দেয়। আলোকচিত্র নিয়ে যেমন একটি কথা প্রচলিত আছে যে ‘একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি কথা বলে’, তেমনি একটি ঘরের আসবাব, রঙ, সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জাও অনেক কিছু বলে; মানুষের অপ্রকাশিত মনের কথা। সুন্দর সাজানো রুচিশীল বাসস্থান আভিজাত্যকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। একটি সুন্দর গোছানো ঘরের জন্য জন্য ‘ইন্টেরিয়র ডিজাইন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কথা শুনলেই আমাদের মানসপটে ভেসে আসে ঘরের নান্দনিকতার চিত্র।</p> <p>শিল্পী, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও মনস্তত্ববিদরা একমত যে মানুষের মন, আবেগ ও অনুভূতিতে রঙের বেশ প্রভাব রয়েছে। তিনটি মৌলিক রঙের ওপর ভিত্তি করে আঠারো শতকে রঙ তত্ত্ব গড়ে উঠেছিল। একটি নির্দিষ্ট রঙ একজন ব্যক্তির আচরণে কিংবা দেখার ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলে তা এই রঙ তত্ত্বের মাধ্যমেই উঠে আসে। ব্যক্তির নিজস্ব রুচি ও জায়গার কথা বিবেচনা করে ঘরের আসবাব ও রঙ নির্বাচন করা উচিত। যেমন, শোয়ার ঘরের দেয়ালের রঙ এমন হবে, যা মনে এক ধরণের প্রশান্তি এনে দেবে। তাই সেখানে জবরজং কোন রঙ বা ডিজাইন করা যাবে না। এক্ষেত্রে কোন ঘরের সাথে কোন রঙ সামঞ্জস্যপূর্ণ, রঙ করার আগে তা বুঝে নিতে সাহায্য করতে পারে বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোন।</p> <p>ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কেলি ওয়েস্টলারের বিখ্যাত একটি উক্তি হল, “বৈচিত্র্যহীন দেয়াল বাড়িতে কোনো প্রাণের সঞ্চার করে না”। বাসায় সঠিক রঙের ব্যবহার বাসার অন্দরের চেহারা এবং ব্যক্তির ইতিবাচক আচরণে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তেমনি দেয়ালের রং মেজাজ/মুড পরিবর্তনেও সক্ষম। ঘরের আসবাব ও রঙ একজন ব্যক্তির রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ঘরের সোফা, খাবার টেবিল ও চেয়ারসহ অন্যান্য সামগ্রীর পরিমিত সমন্বয় আমাদের চারপাশে মানুষদের কাছে আমাদের রুচিশীল ও অভিজাত ভাবমূর্তি তৈরি করে। তাই, ঘরের আসবাব ও রঙ নির্বাচনে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমরা যখন কোনো বাড়ি কিনি বা নিজেদের পছন্দানুযায়ী ঘর সাজাই তখন এই বিষয়গুলো সচরাচর আমলে নেই না। সঠিক জায়গায় আসবাবপত্র রাখা, ঘরের রঙ ও আলোকসজ্জা যে আমাদের সুখ-শান্তির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে তা আমরা ভাবি না।</p> <p>স্থানের সঠিক ব্যবহার, আসবাব ব্যবস্থাপনা, সামঞ্জস্যপূর্ণ দেয়ালের রঙ, বায়ু চলাচল ব্যবস্থা, আলো এবং এ সংক্রান্ত আরো অনেক বিষয় গ্রাহকের সামনে তুলে ধরতে এবং এর ধারাবাহিকতায়, মনের মতো করে ঘর সাজাতে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড স¤প্রতি রিয়েলিটি টিভি শো ‘বার্জার হ্যাপি হোম’ -এর নতুন সিজন নিয়ে এসেছে। এই ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো ক্রেতাদের মনের মাধুর্যে বাসার ইন্টেরিয়র সাজিয়ে দেয়া। তাই, নিজের বাড়ির গল্প লিখে অক্টোবর ২০১৯-এ আবেদনপত্রের আহবান জানিয়েছিলো বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। জমাকৃত আবেদনপত্র থেকে ইন্টেরিয়রের জন্য কিছু বাড়ি নির্বাচন করে প্রতিষ্ঠানটি। বাড়িগুলোর ইন্টেরিয়র নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ায় বার্জার এক্সপ্রেস পেইন্টিং সার্ভিস দলের সাথে ছিলেন বিশিষ্ট স্থপতি অপি করিম এবং স্থপতি আসিফ এম আহসানুল হক। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।</p> <p>এ নিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের চ্যানেল এনগেজমেন্ট হেড এ এম এম ফজলুর রশিদ বলেন, ‘একটি সুন্দর গোছানো ঘরের জন্য ‘ইন্টেরিয়র ডিজাইন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাসায় সঠিক রঙের ব্যবহার বাসার অন্দরের চেহারা বদলে দেয়। পাশাপাশি, ঘরের আসবাব ও রঙ একজন ব্যক্তির রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আমাদের এই উদ্যোগটির লক্ষ্য হলো, ক্রেতাদের মনের মাধুর্যে বাসার ইন্টেরিয়র সাজিয়ে দেয়া। আমাদের এই উদ্যোগটি ক্রেতাদের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’</p> <p>উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে এ শো -এর মাধ্যমে ১০টি বাড়ি নতুন করে সাজানোর কথা ছিলো এবং পরিকল্পনা ছিলো এ বছরের এপ্রিলে সম্প্রচার করার। কিন্তু কোভিড সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত চারটি বাড়ির কাজ শেষ হয়েছে। </p>