<p>নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাউশি। শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তৈরি করা হয়েছে প্রচারপত্র। এই পত্র শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।</p> <p>আজ শুক্রবার মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রচারপত্রটি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষকদের মাধ্যমে তা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।</p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংযুক্ত প্রচার পত্রটি ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিতরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।</p> <p>প্রচার পত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ভবিষ্যতের দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে মুখস্ত বিদ্যা নয় বরং অনুধাবন ও প্রয়োজনে প্রয়োগ দক্ষতা তৈরি করতে হবে। হাতে কলমে কাজ শিখে দক্ষ নাগরিক হতে হবে। পরবর্তনের সঙ্গে নিজের যোগ্যতার রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম হতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম তেমন স্মার্ট নাগরিক তৈরি লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।</p> <p>পড়াশুনা ও পরীক্ষা নেই, এমন মন্তব্যের বিষয়ে পত্রে বলা হয়, এটা মিথ্যাচার। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব বলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পাশাপশি দক্ষতাও অর্জন হবে, মূল্যায়ন হবে প্রতিটি কাজের। পারদর্শিতার ৭টি স্কেলে তাদের রিপোর্ট কার্ডও থাকছে।</p> <p>চাকরির ক্ষেত্র নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের বিষয়ে বলা হয়, পারদর্শিতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে। এসব কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সৃজনশীল, উৎপাদক্ষম ও উদ্যোগী এই শিক্ষার্থীরা নিজেরাই উদ্যোক্তা হবে, চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে। এতে নোট গাইডের বোঝা থাকবে না। এসব কারণে কোচিং ব্যবসায়ী ও নোট-গাইড ব্যবসায়ীরা অপপ্রচারে নেমেছে। শিক্ষক নির্দেশিকায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। ফলে ব্যয়ও কমে আসবে।</p>