<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়ার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ৪০ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">এ সময় তাঁরা জানান</span></span><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">, গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সিদ্ধান্তে তারা এখনো অটুট আছে। একাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা খুব দ্রুতই সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন</span></span><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">, কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ শঙ্কার কারণে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে জোর করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠেলে দেয়। পরে দেখা যায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের বদলে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গুচ্ছের মতো একটি অদূরদর্শী প্রক্রিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে অবনমন করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">লুৎফর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এ আইনের ৪০ নম্বর ধারায় বলা আছে </span></span><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিজস্ব ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন</span></span><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করবে তাদেরই দায়ভার নিতে হবে। মন্ত্রাণালয় বা ইউজিসি যদি একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে এবং আইনের ব্যত্যয় করে, তাহলে তাদেরকে দায়ভার নিতে হবে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">শিক্ষক সমিতির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা বলেন</span></span><span style="font-size:24.0pt"><span style="font-family:Kalpurush">, একাডেমিক কাউন্সিলে নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। এরপরও যদি এ আইনের ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।</span></span></span></span></p>