<p>ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ১৫তম সমাবর্তনে চার হাজার ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী সনদ এবং ৩১ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক বিতরণ করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন মেডট্রনিক-এর সাবেক চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ইশরাক। </p> <p>সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী হবে, চিন্তা চেতনায় প্রগতিশীল হবে। সততা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, শরীর মনে সুস্থ এবং কর্মে উদ্যমী মানুষ হবে।’</p> <p>উচ্চশিক্ষায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশ এবং বিশ্বের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চেয়েছিলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষতার সঙ্গে সেই কাজটি করে চলেছে।’</p> <p>ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা হবে প্রাণশক্তিতে ভরপুর। কারণ তারা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত যা সমসাময়িক সমস্যার সমাধানে নিবেদিত এবং গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরকে উচ্চকিত করে গ্র্যাজুয়েটদেরকে জ্ঞানী এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট, যা তাদেরকে সততার ও নৈতিকতার সঙ্গে তাদের পেশাগত জীবনকে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।’</p> <p>সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্র্যাজুয়েটদেরকে তাদের কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘একটি ভবিষ্যৎমুখী প্রতিষ্ঠান হিসাবে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে সহানুভূতি, সৃজনশীলতা এবং শিল্পোদ্যোগের উন্মেষে সহায়তা করা যাতে তারা ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন সত্ত্বেও সফল হতে পারে এবং আগামী নেতৃত্ব হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। এটা এদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সরকারকে, সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামাজিক উদ্যোগের বিকাশে সহায়তা করবে।’ </p> <p>সমাবর্তন বক্তা ওমর ইশরাক শিক্ষার্থীদেরকে জীবনের লক্ষ্য খুঁজে পেতে সচেষ্ট হতে আহ্বান জানান এবং এমন উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে বলেন যা ইতিবাচক পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে।  তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পার্থক্য গড়ে দেয় এবং গ্র্যাজুয়েটদের উচিত জীবনের লক্ষ্য অর্জন করা ও সেই সঙ্গে সারাজীবন শেখার প্রতি নিবেদিত থাকা, নিত্যনতুন জ্ঞানসম্পর্কে অবহিত থাকা এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশের রয়েছে সম্ভাবনাময় বাজার এবং শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের ধারণাগুলো প্রথমে দেশে প্রয়োগ করা যাতে করে উত্পাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব হয়।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ইংরেজি হলো আন্তর্জাতিক ব্যবসার ভাষা এবং আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের উচিত এই ভাষায় তাদের দক্ষতাকে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করা।  </p>