<p>হুয়াওয়ের গ্লোবাল করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) প্রধান হলি রানাইভোজানানি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। শেনজেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় সিডস ফর দি ফিউচার কর্মসূচীতে সাফল্য দেখিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থকবে। হুয়াওয়ে তাদের পাশে সবসময় থাকবে।</p> <p>হুয়াওয়ের সবচেয়ে বড় সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০১৮’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হলি রানাইভোজনানি। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১০টার দিকে চীনের শেনজেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই করা ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীর এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ এজেন্ডার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এ বছর আয়োজিত সিডস ফর দ্য ফিউচার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে এবং এই মেধাবীরাই সামনে এগিয়ে গিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।</p> <p>অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের গ্লোবাল সিএসআর প্রধান হলি রানাইভোজানানি, ক্যামেরুনের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থী সহায়তা বিভাগের সহপরিচালক বালা নি এনাইগুয়ে মিনকাদা এবং ক্যামেরুন, চাদ ও তুরস্কের আরো ৩০ জন শিক্ষার্থী। </p> <p>অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের গ্লোবাল সিএসআর প্রধান আরো বলেন, ‘আমরা যে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নত ও সংযুক্ত বিশ্বের স্বপ্ন দেখি, এই শিক্ষার্থীরাই হবেন ওই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অগ্রপথিক। আমরা আশা করছি চীন সফরে এসে শিক্ষার্থীরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সেটা তাদের বাস্তব কর্মজীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। সিডস ফর দ্য ফিউচার সফল করতে যেসকল হুয়াওয়ের কর্মকর্তা পরিশ্রম করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ’</p> <p>অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা কার্যকর করার অংশ, যা ২০০৮ সালে শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১০৮টি দেশ ও অঞ্চলে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা চালু হয়েছে। বিশ্বের ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে শিক্ষা সফরে এসে হাতে কলমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য নতুন নতুন আইসিটি মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা।</p> <p>এর আগে গত ১৬ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ের কাস্টমার সল্যুশন ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে (সিএসআইসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।</p> <p>চীনে নিয়ে যাওয়ার আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর সিএসআইসি-তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। গত ৭ সেপ্টেম্বর তারা চীনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে এবং ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের ঘুরে দেখানো হয় চীনের মহাপ্রাচীর ও ফরবিডেন সিটি। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা চীনা সংস্কৃতি বিষয়ে ধারণা লাভ করে। শিল্পক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় শেনজেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে অংশ নেন আরো চারটি দেশের শিক্ষার্থীরা।</p> <p> </p>