<p>শেখ হাসিনার দোসররা এখনো সরকারের সর্বত্র সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ভূতরা আজকে আদালতে-প্রশাসনে-পুলিশে আছে। তারা প্রতি পদে পদে এই সরকারকে ব্যাহত করছে।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সব ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।</p> <p>বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং কালের কণ্ঠ'র সম্পাদক হাসান হাফিজ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, একেএম মহসিন, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মুরসালীন নোমানী, মহিউদ্দিন প্রমুখ। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার সমাবেশের সঞ্চালনা করেন। </p> <p>সমাবেশে রিজভী আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটা করেছিলো তারই আপহোল্ড হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা আইন, একই জিনিস। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছেন। </p> <p>ফ্যাসিবাদ আর নাৎসিদের কখনোই রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুসোলিনী আবার ফিরে আসেনি ইতালিতে, হিটলার আবার পুনর্বাসিত হয়নি জার্মানিতে। সুতরাং কোনোভাবেই মাফিয়া-নাৎসি-ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না।</p> <p>অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের সরকারের মতো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।</p> <p>আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে নেয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিপ্লবী সরকারের কর্মকাণ্ড হবে বৈপ্লবিক। আইনের কথা বলছেন- আইন উপদেষ্টা নিশ্চয়ই একজন গুনি মানুষ, আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্টজন। কিন্তু বিপ্লবী সরকারের দায়িত্ব তো প্রচলিত কোনো আইনের ওপর ভিত্তি করে কাজ করা নয়। প্রচলিত আইন ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা। </p> <p>বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমাদের খুব দুঃখ লাগে যে, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরেও আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে দাবি নিয়ে। আমরা এই সমাবেশ থেকে সব বন্ধ সংবাদপত্রসহ মিডিয়া খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। খুনি হাসিনা যত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। </p> <p>সরকারের চারপাশে ফ্যাসিবাদের প্রেত্মাতাদের ঘুরে বেড়াচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, এই প্রেতাত্মাদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, তাড়িয়ে দিতে হবে। নইলে যেভাবে আমরা রক্ত দিয়েছি, আমরা আবারও ফ্যাসিবাদের দালালদের তাড়ানোর জন্য রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।</p> <p>ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, কেন মাহমুদুর রহমানকে জেলে যেতে হলো, আইন উপদেষ্টাকে বলতে হবে। মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে আমাদের সংগঠনের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ভাইকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হলো। তিনি এক বছর ৭ মাস কারাবরণ করেছেন এই মিথ্যা মামলায়। তিনি দেখে যেতে পারেননি যে, তার মামলাটি প্রত্যাহার হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে গত ৮ আগস্ট। কোথায় আমাদের সেই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন হলো?</p>