<p>ভারতের বিহার রাজ্যের কেন্দ্রস্থল পাটনার গঙ্গা নদীর সন্নিহিত অঞ্চলে অবস্থিত ‘খোদা বখশ ওরিয়েন্টাল পাবলিক লাইব্রেরি’ গোটা মুসলিম বিশ্বের এক অপূর্ব বিস্ময়। বাগদাদ ও স্পেনের পর এটাই নানামুখী গ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপি মজুদের দিক দিয়ে বৃহত্তর সংগ্রহশালা। এ গণগ্রন্থাগারে বর্তমানে রয়েছে প্রাচ্যবিষয়ক ২১ হাজার দুর্লভ পাণ্ডুলিপি এবং দুই লাখ ৮২ হাজার মুদ্রিত গ্রন্থ। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে গবেষক ও ইতিহাসবিদ বিহারের খান বাহাদুর খোদা বখশ খান বার এট ল চার হাজার পাণ্ডুলিপি নিয়ে এই গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে এক হাজার ৪০০ পাণ্ডুলিপি তিনি তাঁর পিতা মৌলভি মুহাম্মদ বখশের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি ইসলাম, মুসলমান, কোরআন, হাদিস, ফিকহ, সাহিত্য, ঐতিহ্য ও সভ্যতাবিষয়ক বিপুলসংখ্যক পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রিত গ্রন্থ সংগ্রহ করেন। খোদা বখশ খান রেজিস্টার্ড দলিলের মাধ্যমে তাঁর এ বিশাল ব্যক্তিগত সংগ্রহ সাধারণ জনগণের জন্য সরকারের অনুকূলে দান করে দেন। ১৯৬৯ সালে পার্লামেন্টে পাসকৃত আইনানুসারে ভারত সরকার এ গণগ্রন্থাগারকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানরূপে ঘোষণা দেয়। এ গণগ্রন্থাগার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিহারের গভর্নর পদাধিকারবলে এ গণগ্রন্থাগারের চেয়ারম্যান। শায়েস্তা বেদার বর্তমানে এর পরিচালক।</p> <p>দুষ্প্রাপ্য পাণ্ডুলিপির বিশাল সংগ্রহ, দুর্লভ মুদ্রিত পুস্তক, ক্ষুদ্রাকার চিত্র  (Miniatures), হিন্দু দেবতার অঙ্কিত চিত্র, মোগল, রাজপুত, তুর্কি এবং ইরানি ঐতিহ্যপুষ্ট চিত্রশিল্পের সম্ভারের কারণে এ গণগ্রন্থাগার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করে। এটা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার। এক ইঞ্চি প্রস্থ পবিত্র কোরআনের বিশেষ পাণ্ডুলিপি ও হরিণের চামড়ায় লিখিত কোরআন এ গণগ্রন্থাগারের বাড়তি আকর্ষণ। স্পেনের কর্ডোভা বিশ্ববিদ্যালয় লুণ্ঠনের সময় যেসব গ্রন্থ উদ্ধার করা হয়, তার মজুদও রয়েছে এ গ্রন্থাগারে। জাহাঙ্গীরনামা, শাহনামা, তারিখে খানদানে তৈমুরিয়া—এর পাণ্ডুলিপি, প্রাচীন মুদ্রা এবং ইরানি ক্যালিগ্রাফি গ্রন্থাগারকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করে। আলেকজান্দ্রিয়া, কায়রো, দামেস্ক, বৈরুত, আরবদেশ থেকে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি সংগ্রহে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। ৩০০ পাণ্ডুলিপি সচিত্র কপিসহ ৩৯ খণ্ডের বর্ণনাসূচক ক্যাটালগ গ্রন্থাগার কর্তৃক এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামিক স্টাডিজ, ফকিহদের লিখিত ফতোয়াগ্রন্থ ছাড়াও ইউনানি চিকিৎসা, জীবনচরিত, সুফিবাদ, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, মধ্যযুগীয় ইতিহাস, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার ইতিহাস, মধ্যযুগীয় বিজ্ঞান, জাতীয় সংহতি ও স্বাধীনতার ওপর উর্দু, ফারসি ও আরবি ভাষায় লিখিত বিশাল এক সাহিত্যভাণ্ডার এ গণগ্রন্থাগারকে তাৎপর্যমণ্ডিত করে। </p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/August 2019/khuda.jpg" style="height:386px; width:684px" /></p> <p>খোদা বখশ গণগ্রন্থাগারের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের পেছনে রয়েছে আত্মত্যাগের এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। এ গণগ্রন্থাগারের সূচনার মূলে আছেন খোদা বখশ খানের পিতা মৌলভি মুহাম্মদ বখশের বদান্যতা ও আন্তরিকতা। বিহার জেলার চাপরার অধিবাসী মৌলভি মুহাম্মদ বখশ ছিলেন গ্রন্থপ্রেমিক, বিদ্যানুরাগী ও জ্ঞানানুসন্ধিত্সু। দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও গ্রন্থ সংগ্রহ করা ছিল তাঁর নেশা। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল এক হাজার ৪০০ পাণ্ডুলিপিসহ বেশ কিছু মুদ্রিত পুস্তক। ১৮৭৬ সালে তিনি যখন মৃত্যুশয্যায়, তাঁর সারা জীবনের সংগ্রহ তাঁর ছেলে খোদা বখশ খানকে প্রদান করে এ মর্মে অসিয়ত করেন, যদি জীবনে সুযোগ হয়, তাহলে এসব গ্রন্থ পুঁজি করে জনসাধারণের জন্য একটি বৃহত্তর গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালাতে হবে। একটি সমৃদ্ধ গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠাকে তিনি জীবনের মিশন হিসেবে গ্রহণ করেন, যাতে তাঁর পিতৃস্বপ্ন পূর্ণতা পায়। ভারতীয় উপমহাদেশ ও আরববিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় তিনি পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের জন্য বহু লোক নিয়োগ করেন। খোদা বখশ খান ১৮৯১ সালের ২৯ অক্টোবর আরবি, ফারসি ও তুর্কি ভাষায় রচিত চার হাজার দুষ্প্রাপ্য পাণ্ডুলিপি আরবি, ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত বিপুল গ্রন্থ নিয়ে পাটনার জনগণের জন্য এ গ্রন্থাগার উন্মুক্ত করে দেন।</p> <p>বিহারের  চাপরা এলাকায় ১৮৪২ সালে খোদা বখশ খানের জন্ম। তিনি ১৮৬৮ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৮৮১ সালে পাটনা আদালতে সরকারি আইনজীবী মনোনীত হন। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি হায়দরাবাদের নিজাম আদালতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯০৩ সালে</p> <p>CIA উপাধি প্রদানে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। খোদা বখশ খানের অনূদিত ও সম্পাদিত Islamic Civilization গ্রন্থটি গোটা উপমহাদেশের গবেষক ও বিদগ্ধজনের কাছে বহুল পরিচিত ও সমাদৃত। চাকরি করে জীবনে যত অর্থ অর্জন করেন, তার সবটুকু তিনি গ্রন্থাগার সমৃদ্ধির পেছনে ব্যয় করেন। ১৯০৮ সালের ৩ আগস্ট ৬৬ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।</p> <p><strong>বিস্ময়কর স্বপ্ন</strong><br /> এক রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে লাইব্রেরির পার্শ্ববর্তী গলিতে বহু লোক ভিড় জমিয়েছে। তিনি তাদের কাছে যাওয়ামাত্রই তারা চিৎকার করে বলে ওঠে, ‘বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তোমার কুতুবখানা দেখতে এসেছেন অথচ তোমার কোনো পাত্তা নেই।’ খোদা বখশ সাহেব দ্রুতপদে পুস্তকালয়ে ঢুকে দেখলেন কক্ষ শূন্য; কিন্তু দুইখানা হাদিসের পাণ্ডুলিপি টেবিলের ওপর খোলা পড়ে রয়েছে। লোকেরা বলল, হজরতই সেগুলো পড়ে দেখেছেন। পুস্তক দুইখানা বাইরে নেওয়া নিষিদ্ধ করে খোদা বখশ সাহেব স্বহস্তে তাতে মন্তব্য লিখে দেন (ড. এম আবদুল কাদের, মুসলিম কীর্তি, ইফাবা, ঢাকা, ১৯৮৮, পৃ. ২৮৪)।</p> <p>এই লাইব্রেরির ইতিহাস ও ক্রমবৃদ্ধির সঙ্গে এরূপ অনেক কাহিনি বিজড়িত আছে। ভারতের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ ছিল নিঃসন্দেহে দিল্লির শাহি কুতুবখানায়। ষোড়শ শতাব্দীতে প্রাচ্যের হস্তলিপি ও পুস্তক বাঁধাই শিল্পের সব দুর্লভ ও উত্কৃষ্ট নমুনা সেখানে সংগৃহীত হয়। এসব সম্পদ কিছু ক্রীত, কিছু বাদশাহর বেতনভোগী শিল্পীদের সম্পাদিত, কিছু আওরঙ্গজেব কর্তৃক হায়দরাবাদ, বিজাপুর প্রভৃতি রাজ্য জয়ের ফলে প্রাপ্ত এবং অবশিষ্টগুলো বড় বড় আমিরের মৃত্যুর পর তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সংগৃহীত। এভাবে সে যুগে প্রাচ্যের বৃহত্তম লাইব্রেরি সূচিত হয়। পারস্য ও মধ্য এশিয়া যখন অবিশ্রান্ত সংগ্রামে ছিন্নভিন্ন, তখন বাদশাহদের সুশাসনে ভারতবর্ষে নিরবচ্ছিন্ন শান্তি বিরাজ করে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এসব পুস্তকের অনেক অযোধ্যায় নবাবদের লাইব্রেরিতে স্থানান্তরিত হয় কিন্তু সিপাহিযুদ্ধের ফলে দিল্লি ও লখনউ পতন ঘটলে বাদশাহ ও নবাবদের এ অমূল্য সম্পদ লুণ্ঠিত হয়। এই যুদ্ধে রামপুরের নবাব ছিলেন ইংরেজের পক্ষে। তিনি বিজয়ীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, যে কেউ তার কাছে একখানা পাণ্ডুলিপি নিয়ে আসবে, সে একটি রৌপ্যমুদ্রা পাবে। ফলে লুণ্ঠিত দ্রব্যের সর্বোত্কৃষ্ট অংশ তাঁরই হাতে পড়ে (প্রাগুক্ত, পৃ. ২৮৫)।</p> <p>পত্র, ফ্যাক্স, ফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি খোদা বখশ গণগ্রন্থাগার থেকে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেন। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ৯ হাজার ৫০০ পাঠক রিডিংরুমে অধ্যয়নের জন্য আসে। ১৯৭৭ সাল থেকে ‘খোদা বখশ লাইব্রেরি জার্নাল’ নামের একটি ত্রৈমাসিক গবেষণা পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে। বহুমাত্রিক ভাষায় প্রকাশিত জার্নালটি প্রকাশের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাহিত্য, প্রাচ্য ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ের উন্নয়ন ও উচ্চতর গবেষণার দ্বার উন্মোচন। এ পর্যন্ত আরবি, হিন্দি, ইংরেজি, ফারসি ও উর্দু ভাষায় ৪০০ শিরোনামের নিবন্ধ ও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পুরনো ও নতুন জার্নাল মিলিয়ে ৩৫ হাজার ভলিউম সাময়িকী রয়েছে এ গ্রন্থাগারে।</p> <p>খোদা বখশ লাইব্রেরিতে কর্মী ও স্টাফের সংখ্যা ৫৯ জন। দিল্লি ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারের  (NIR) সহায়তায় ১৯৯৯ সালে লাইব্রেরিতে একটি কম্পিউটার কেন্দ্র স্থাপিত হয় এবং লাইব্রেরির পুরো স্টককে কম্পিউটারাইজড সার্ভিসের আওতায় আনা হয়। গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত সব পাণ্ডুলিপির শিরোনাম, লেখকের নাম ও বিষয়বস্তু কম্পিউটারাইজ করে বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে। এরই মধ্যে পাণ্ডুলিপির ১০ লাখ পৃষ্ঠা কম্পিউটারাইজড সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহায়তায় ভারতের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘খোদা বখশ ওরিয়েন্টাল পাবলিক লাইব্রেরিকে পিএইচডি ও ডি.লিট ডিগ্রি প্রদানের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ১৯২৫ সালে মহাত্মা গান্ধী খোদা বখশ লাইব্রেরি পরিদর্শন করে বলেন, ‘আমি প্রায় ৯ বছর আগে এই চমৎকার গ্রন্থাগারের ব্যাপারে অবগত হই। তখন থেকে এটা পরিদর্শনের জন্য আগ্রহী ছিলাম। দুর্লভ গ্রন্থের সুসমৃদ্ধ সংগ্রহ পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়ে আমি পুলকিত। গ্রন্থগারিক অনুগ্রহ ও ধৈর্য ধরে আমাকে এগুলো দেখার ব্যবস্থা করেন। এসব গ্রন্থ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআন ও শাহনামার বর্ণিল অলংকরণ ও নিখুঁত চমৎকারিত্ব দেখলে স্বর্গীয় অনুভূতিতে চোখ জুড়িয়ে যায়। দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের এমন ভাণ্ডার ভারতকে উপহার দেওয়ার জন্য গ্রন্থাগারের মহান প্রতিষ্ঠাতা যে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করেন, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।’</p> <p>ইন্ডিয়ান ডোমিনিয়নের প্রথম গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭-৪৮) ১৯৪৮ সালে গ্রন্থাগার পরিদর্শন করে বলেন :</p> <p>‘A unique collection of which this great country may justly be proud’.</p> <p>‘এটা এমন অনুপম সংগ্রহশালা, যার জন্য এ মহান দেশ যথার্থভাবে গর্ব করতে পারে।’</p> <p>এককথায় ‘খোদা বখশ ওরিয়েন্টাল পাবলিক লাইব্রেরি’ শুধু ভারতের নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য গৌরবের বস্তু। খোদা বখশ খানের মতো মনীষী যে দেশে জন্ম নেয়, সে দেশ ধন্য, এতে সন্দেহ নেই। তিনি আমাদের জন্য আদর্শ। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।</p> <p>(<a href="http://http//klibrary.bih.nic.in;siwan.bih.nic.in;www.namami.nic.in/mrc;www.indiaculture.nic.in">http://http//klibrary.bih.nic.in;siwan.bih.nic.in;www.namami.nic.in/mrc;www.indiaculture.nic.in</a>)</p> <p><strong>লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান</strong><br /> ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম</p>