<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীবিকার টানে বাড়ি ছাড়া। বাড়ি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে শুরু করেন ব্যবসা। গুনতে হয় লোকসান। আবার হতাশা ঘিরে বসে সজীবকে। বাড়ি ফিরে মুরগির খামার গড়ে তোলেন। খামার পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে ইউটিউব ঘাঁটতে গিয়ে চোখে পড়ে চীনের বেইজিং প্রজাতির হাঁস পালনের ভিডিও।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সজীব আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কিনে আনেন এক দিন বয়েসী ৩০০ হাঁসের বাচ্চা। মন দিয়ে শুরু করেন লালন-পালন। দুই মাসের মধ্যেই তিনি লাভের মুখ দেখেন। বেইজিং প্রজাতির সাদা রঙের হাঁস চাষের চাষি সজীব খান এখন মহা খুশি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের যুবক মো. সজীব খাঁ। শনিবার দুপুরে কথা হলে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাঁস পালন করে শুরুতেই তাঁর মাসিক আয় ৪৫ হাজার টাকার মতো। খামারের পরিধি বাড়লে এই আয় আরো অনেক বেড়ে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সজীব জানালেন, বেইজিং প্রজাতির এই হাঁসের ভালো বৈশিষ্ট্য হলো খুব দ্রুত বড় হয়ে যাওয়া। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই তিন কেজি ওজন হয়ে যায়, যা বিক্রয় উপযোগী। সাদা রঙের পালক, পা কমলা, হলুদ, লালচে কালারের মিশ্রণ হওয়ায় দেখতেও সুন্দর। দেশি হাঁসের তুলনায় এর ডানা ছোট। মাংস খেতেও তুলনামূলক অনেক সুস্বাদু। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সজীব এক কন্যাসন্তানের জনক। স্ত্রীসহ পরিবার নিয়ে বেশ ভালোই আছেন। মুরগির পাশাপাশি হাঁসের খামার গড়ে তুলে তিনি এখন স্বাবলম্বী। বেকার যুবকরাও যেন হতাশ না হয়ে এভাবে খামার গড়ে তোলেন এই পরামর্শ সজীব খাঁর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিনারকোট গ্রামের মো. আনিস খাঁর ছেলে সজবী খাঁ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুরে মুদি দোকান করার সময় এক বন্ধুর বাড়িতে মুরগির খামার দেখতে যেতাম। বাড়ি ফিরে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মুরগির ব্যবসা শুরু করি। এক বছর ধরে হাঁস পালন শুরু করেছি। খামার থেকে তৃতীয়বারের মতো হাঁস বিক্রি শুরু করেছি। হাঁসের পাশাপাশি মুরগির খামারও চালু থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আনিস জানান, একেকটি হাঁসের বাচ্চা কিনে আনতে হয় ১২৫ টাকা করে। ৪৫ দিনে তিন কেজি ওজন হয় হাঁসের। প্রতি কেজি লাইভ ওয়েটে সাড়ে তিন শ টাকা করে বিক্রি করা হয়। হাঁসগুলোকে এমনিতে খাবার কিনে খাওয়াতে হয়। তবে পানি ওঠা জমিগুলো থেকে ঝিনুক, শামুক, ধান খাইয়ে পালতে পারলে খরচ কিছুটা কমে আসে। এ জাতীয় হাঁস পালনে অসুখ-বিসুখ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>