<p>মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্প ধারার কর্মী মাছুম হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো বাবুল ও শাহাদাত। বাবুল কারাগারে থাকলেও অন্যজন পলাতক।</p><p>রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারে থাকা আসামি বাবুল, বিল্লাল, মহসিন, সেলিম, ফরহাদ, আবদুল মান্নান, স্বপন, তপন, মোতালেব ও আবদুল জলিলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা সাতজনও আদালতে হাজির ছিলেন। এ ছাড়া শাহাদাতসহ অন্য পাঁচজন পলাতক।</p><p>২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মো. আবু আবদুল্লাহ ভুঞা। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, শামীমা আক্তার শাম্মী, আবদুল মান্নান। অন্যদিকে পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. এমদাদুল হক লাল।</p><p>মামলার তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১০ আগস্ট প্রথমে ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে বাদীর নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত হয়। পরে ওই বছরেরই ৬ নভেম্বর নতুন করে আরো ১৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় মামলার দায় থেকে তিন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।</p><p>জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ জুুুুন বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহি বি চৌধুরীর বিজয় মিছিলে যাওয়ার জন্য মামলার বাদী উত্তর কামারগাঁও ইউনিয়নের শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন ও তাঁর ভাই মাছুম নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে শ্রীনগর থানার কামারগাঁও গণি মুন্সিবাড়ী সংলগ্ন রাস্তায় গেলে আসামি শাহাদাত, বাবুল, কাইয়ুমসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে মামুন ও মাছুমকে মারাত্মক জখম করে। এতে মাছুম নিহত হন। এ ঘটনায় পরদিন সকাল সাড়ে ১১টায় শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।</p><p></p>