<p>চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে এআই যে ধরনের বিপ্লব ঘটিয়ে যাচ্ছে তা শিগগিরই থামছে না। এআই ছুটছে বুলেট ট্রেনের গতিতে, ঝোড়ো বাতাসে নড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন চাকরিক্ষেত্রের ভিত। নিশ্চিত ও নিরাপদ চাকরি হিসেবে পরিচিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং খাতেও ভীতি ছড়ানো শুরু করেছে এআই। সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ ‘কগনিটিভ এআই’ তৈরি করেছে ‘ডেভিন’ নামের এক এআই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট। একে প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও বলা হচ্ছে। কোডিং সাজেশন দেওয়া এবং অর্ধসমাপ্ত কোড শেষ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না ডেভিনের কাজ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সফটওয়্যার প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। যেমন—ওয়েবসাইটের জন্য ম্যাপ তৈরি করে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নত করা এবং সেখানকার ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য প্রকাশ করার দক্ষতা রয়েছে এটির। ওয়েবসাইটে কোনো ত্রুটি বা বাগ থাকলে সেটারও সমাধান করতে পারবে। যে কোড লিখে এআই সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে সেই কোড পুনরায় লিখে পরীক্ষা চালিয়ে ত্রুটি সারাতে পারবে এটি।</p> <p>এ ছাড়া আগের কথোপকথনের প্রসঙ্গ মনে রাখা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেখা এবং হাজার হাজার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ডেভিনের। এতে খুব সাধারণ কিছু ডেভেলপার টুলও যুক্ত করা হয়েছে। যেমন—শেল, কোড এডিটর ও ব্রাউজার। এআই সফটওয়্যারটির ক্ষমতা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ডেভেলপারদের। এক্সে (টুইটারে) পোস্টে অনেকেই লিখেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখে পড়ে এসে চাকরিক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি হওয়ার আগেই মেশিন তাদের জায়গা নিয়ে নেবে। উল্লেখ্য, মাইক্রোসফটের কোপাইলট চ্যাটবটের ওপর ভিত্তি করে এই এআই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টটি তৈরি করা হয়েছে।          </p> <p style="text-align: right;">                               <strong> সূত্র :</strong> ব্লুমবার্গ</p>