ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
ময়মনসিংহের নান্দাইল, ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া ও সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে সেলাই মেশিন বিতরণ

অসচ্ছল নারীদের স্বপ্নপূরণে বসুন্ধরা গ্রুপ

আবদুল হালিম ও মুস্তাফিজ নোমান
আবদুল হালিম ও মুস্তাফিজ নোমান
শেয়ার
অসচ্ছল নারীদের স্বপ্নপূরণে বসুন্ধরা গ্রুপ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার ২০ জন অসচ্ছল নারীর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

চার সন্তানের জননী রাশিদা আক্তারের স্বামী মো. দেলোয়ার হোসেন গ্রামের একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করতেন। মাসে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন। আত্মীয়দের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবন্ধী এক সন্তানের চিকিৎসাসহ তিন মেয়ের লেখাপড়া চালিয়েছেন। স্বামীর চাকরি চলে গেছে প্রায় ছয় মাস হলো।

বাড়ির ভিটা ছাড়া জমিজমা নেই। একেবারেই অসচ্ছল পরিবার। পরিবারের হাল ধরতে সেলাই মেশিন চালানো ও কাপড় কাটার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন রাশিদা আক্তার, কিন্তু সেলাই মেশিন ক্রয়ের সামর্থ্য নেই। একটি সেলাই মেশিন ছিল তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো।
তাঁর সেই স্বপ্নপূরণে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনা মূল্যে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে রাশিদার দুই চোখে টলমল করছিল পানি। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের দেওগাও শিববাড়ী গ্রামের রাশিদার মতো এমন অসহায় ৬০ নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ময়মনসিংহের নান্দাইল, ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া এবং সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের হাওরবেষ্টিত খেটে খাওয়া নারীদের হাতে এই সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি তিনটি উপজেলায় তিন দিনের আয়োজনের মাধ্যমে এই সেলাই মেশিনগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের শিরিনা আক্তারের স্বামী রাসেল মিয়া ২০১৮ সালে মারা গেছেন। তিন শিশুসন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। বাড়ির জায়গাটুকু ছাড়া আর কোনো জমি নেই।

অভাব-অনটনের সংসার। আয়-রোজগার করার কেউ নেই। সন্তানদের মুখে খাবার দিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী একটি গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ নেন। শিশুরা মাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করে। ছয় মাস কাজ করে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন। দুই ছেলের মধ্যে আদম আলী একটি মাদরাসায় হাফেজি পড়ে, আরেক ছেলে ইমান আলী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আরেক ছেলের বয়স ছয় বছর। প্রতিবেশীদের সহযেগিতায় দুই ছেলের লেখাপড়া চালাতে পারলেও অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে পরিবারটির। বিনা মূল্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা যায় শিরিনাকে।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা সবাইকে সেলাই মেশিন দেওয়ার পর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাঁদের হাতে যাতায়াত ভাড়াও দিয়ে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। বিনা মূল্যে সেলাই মেশিন ও যাতায়াত ভাড়া পাওয়ায় তাঁরা আরো আনন্দিত হন। অতিথিরা বলেন, শুভসংঘের মাধ্যমে এই সেলাই মেশিন উপহার হিসেবে বিতরণ, এটি আসলে দুই দিক থেকে ভালো উদ্যোগ। যাঁরা এটির সঙ্গে জড়িত, তাঁরা ভালো কাজে অনুপ্রেরণা পাওয়ার পাশাপাশি যাঁরা সহায়তা পেলেন, তাঁদের এটি আয়ের একটি উৎস তৈরি হলো। একটি মেশিন দিয়ে একটি পরিবারের চলা সম্ভব। সেলাই মেশিন নিয়ে অসচ্ছল পরিবারের নারীরা যেন সচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে আনন্দে বাড়ি ফিরে যাবেন। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের সচ্ছলতার চাকা। পরিবারের কাজ ও লেখাপড়ার ফাঁকে প্রতিদিন একটি সেলাই মেশিন দিয়ে সালোয়ার-কামিজ, পেডিকোট, মেক্সি, শিশুদের প্যান্ট, ব্লাউজ তৈরি করে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করা সম্ভব প্রত্যেকের। এসব টাকায় তাঁরা সংসার ও নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নিতে পারবেন। সেলাই মেশিনের চাকায় ঘুরতে পারে তাঁদের ভ্যাগের চাকা। সেলাই মেশিন ক্রয় করার মতো সামর্থ্য এখানে কারো নেই। তাঁদের কাছে একটি সেলাই মেশিন ছিল স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘ বিনা মূল্যে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে একটি করে সেলাই মেশিন। এখন এই সেলাই মেশিন দিয়ে তাঁরা কাজ করে পরিবারের অনেককটা অভাব ঘোচাবেন। সুই-সুতায় স্বপ্ন বুনবেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বাবা সমর চক্রবর্তী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর আয়েই চলত সংসার ও তিন সন্তানের লেখাপড়া। আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে স্ত্রী লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। দোকান চালানোর মতো আর কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়।

সেই দোকান ভাড়া দিয়ে সামান্য যে টাকা পাওয়া যেত, তা দিয়ে কোনো রকমে চলার চেষ্টা করে পরিবারটি। অনটনের কারণে একসময় পড়ালেখা ছাড়িয়ে বড় মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি মেজো মেয়ে সুস্মিতা চক্রবর্তী। বাবা যখন মারা যান, তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামে। শত অভাব-অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সুস্মিতা প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু আয় করার চেষ্টা শুরু করেন। সেটি আজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
এখন স্থানীয় একটি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা। নিজের লেখাপড়া আর প্রাইভেট পড়ানোর মধ্যেই থেমে থাকেননি তিনি। কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন পণ্য নিজে বানিয়ে অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এসব পণ্যের অনেকগুলো আবার সেলাইসংক্রান্ত। কাজের পাশাপাশি ছোট ভাইকেও লেখাপড়া করাচ্ছেন।
ভাইটি এবার এইচএসসি দিচ্ছে। সুস্মিতার ভাষ্য, বাবার মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আমার প্রবল চেষ্টা ও আগ্রহ ছিল। তাই আমি কখনো হতাশ হয়ে পড়িনি। কষ্ট করে হলেও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছি, ছোট ভাইটিকে পড়াচ্ছি, মায়ের সংসারেও সাহায্য করার চেষ্টা করছি। একটি সেলাই মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছিলেন তিনি। সুস্মিতা বলেন, আমি অনলাইনে বিক্রির জন্য যেসব কাজ করি, সেগুলো অনেকটাই সেলাই রিলেটেড। এই মেশিনের মাধ্যমে আমি এখন থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি দিয়ে আমি আমার আয় আরো অনেক বাড়াতে পারব, যা দিয়ে ছোট ভাইসহ নিজের লেখাপড়া চলবে। পরিবারকেও এগিয়ে নিতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

 

মন্তব্য

রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। না পারছি তাদের ঠিকভাবে খাওয়াতে, না পারছি লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না পারছি বলতে, পারছি না সহ্য করতে। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রাশিদা বেগম।

তাঁর দুচোখ দিয়ে ততক্ষণে গড়িয়ে পড়ছে পানি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত এন্তাজ আলীর স্ত্রী রাশিদা। তাঁর ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে পড়েন অনার্সে।
স্বামী বেঁচে থাকতেই বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কালীগঞ্জ বাজারে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করতেন তাঁর স্বামী। দুই বছর আগে তিনি মারা গেলে পরিবারটি বিপাকে পড়ে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়।
বাধ্য হয়ে ছোট ছেলেটি পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের হাল ধরে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায়। ছেলের এসএসসি পরীক্ষার কারণে প্রায় পাঁচ মাস দোকান বন্ধ রেখেছিলেন রাশিদা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। একটি বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছিলেন।
তাঁকে সেই পথ দেখাল বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনামূল্যে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার। এটি শুধুই একটি মেশিন নয়, তাঁর কাছে যেন বাঁচার অবলম্বন। বিধবা এই নারী বলেন, সেলাইয়ের কাজ জানতাম না, ছিল না মেশিনও। এখন দুটিই দিল বসুন্ধরা। এই মেশিন চালিয়ে আয় করার সব চেষ্টা করব, যাতে সন্তানদের খাওয়াতে পারি, লেখাপড়া করাতে পারি। যারা আমাকে এই পথ দেখিয়েছে, তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করব।

মন্তব্য

দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

    ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যে চিন্তা থেকে বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জকে বেছে নিয়েছে, তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পিছিয়ে পড়া এই উপজেলায় অসচ্ছল মানুষ যেমন আছে, তেমনি নদীভাঙন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এসব পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, নানাভাবে সমাজে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

সেই দিক চিন্তা করে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের সামাজিক সংগঠন শুভসংঘের মাধ্যমে এখানকার যে উপকারভোগীদের বাছাই করেছে, এরপর তিন মাস ধরে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছেএটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সমাজের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল এসব নারী এখন থেকে বাড়িতে বেকার সময় না কাটিয়ে রোজগার করে দুবেলা ঠিকভাবে খেতে পারবেন। উন্নতি করতে পারবেন সংসারের। লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন সন্তানদের।
ফলে এই পরিবারগুলোর এগিয়ে যাওয়ার সুফল পাবে আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ। একসময় স্বাবলম্বী এসব নারীকে দেখে পিছিয়ে পড়া অন্য নারীরাও আশাবাদী হবেন, সন্ধান পাবেন নতুন পথের। সেলাই মেশিন হাতে পাওয়া এই নারীদের হাত ধরে একদিন আরো অনেকে স্বাবলম্বী হবেন। সচ্ছলতা ফিরবে তাঁদের পরিবারে।
মেশিনপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী যেমন নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই এখন থেকে জোগাতে পারবেন, তেমনি কোনো নারী হয়তো সংসারের নানা কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমে স্বামীকে সাহায্য করতে পারবেন। স্থায়ীভাবে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরার এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।

 

 

মন্তব্য

এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

    মাওলানা রুহুল আমিন, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

আমাদের দেশের শিল্পপতিরা প্রতিদিন নাশতা খেতে বা সামান্য কাজে যত টাকা ব্যয় করেন, তা দিয়ে যদি সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে সমাজের জন্য তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁদেরই একজন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপ বা বসুন্ধরা শুভসংঘ ইচ্ছা করলে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ না করে এই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারত।

কিন্তু তারা সেটি না করে প্রান্তিক-দরিদ্র নারীদের কথা চিন্তা করে এই মহতী আয়োজন করেছেন। এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। ইসলামে নারীদের খাটো করে দেখা হয়নি। সমাজেও অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ।
ফলে তাঁদের বাদ দিয়ে সমাজের উন্নয়ন আশা করা যায় না। নারীদের বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়নই আশা করা যায় না। আজকে যাঁরা মেশিন পেলেন, তাঁরা সংসারের কাজ শেষে যদি সেলাইয়ের কাজ করেন, তবে তাঁদের সংসারে অনেক উন্নতি হবে। আপনারা একদিন মডেল হবেন, আপনাদের দেখে সমাজের আর দশজন মা-বোন বেঁচে থাকার পথ পাবেন।
অসচ্ছল নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সে জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তারা দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের উন্নতির জন্য যে কাজগুলো করে যাচ্ছে, সেটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশজুড়ে নানা সামাজিক কাজ অব্যাহত রাখবে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ