ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

রমজানে খাদ্য সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
রমজানে খাদ্য সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অসচ্ছল পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয় খাদ্য সহায়তা

৮৫ বছর বয়সী বিধবা সালেহা খাতুন। স্বামী কবে গত হয়েছেন, হিসাব নেই তাঁর। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই ভাগ্যহীনার খোঁজ রাখেন না সন্তানরা। ললাটের করুণ এপিটাফে শুধু কষ্ট আর হতাশার গল্প।

নানা অসুখে শরীরটাও আর সায় দিচ্ছে না তাঁর। বেঁচে থাকাই যাঁর কাছে এক রকম দায়, তাঁর কাছে রমজান কিংবা ঈদের আনন্দ বিশেষ কিছু না। তবু তাঁকে এই রমজানে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অসহায় বৃদ্ধা সালেহা খাতুনকে ঈদ উপলক্ষে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।
সারা দেশে সালেহা খাতুনের মতো পাঁচ শতাধিক অসহায় মা-বাবা, নিম্ন আয়ের মানুষ, এতিম শিশু ও হতভাগ্য মানুষের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।

https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/04.April/20-04-2024/2/kalerkantho-ss-3a.jpgপবিত্র মাহে রমজানের অপার মহিমা ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা রমজানের প্রায় প্রতিটি দিনেই ভাগ্যহীন অসহায় এই মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সিয়াম সাধনার এই মাসে বসুন্ধরা শুভসংঘ ছড়িয়েছে ত্যাগ ও সহমর্মিতার বার্তা।

আরেক অসহায় বৃদ্ধ রাজা মিয়ার বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই।

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বাসিন্দা তিনি। আগে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। বয়সের ভারে কণ্ঠের জোর না থাকায় এখন আর আগের মতো আজান দিতে পারেন না। তাই মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব থেকে নিয়েছেন অবসর। পরিবারের কেউ এখন আর তাঁর দায়িত্ব নিতে চায় না।
কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তিনি। রাজা মিয়ার মতো এমন অসহায় মানুষ খুঁজে খুঁজে তাদের মুখে আনন্দ ফোটানোর জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার পেয়ে মহাখুশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। প্রকল্পে বসবাসরত অর্ধশত দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে বিতরণ করেছেন সংগঠনের সদস্যরা।

অন্যদিকে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় এক উপকারভোগী হবি মিয়া (৭০) বলেন, আমার নিজের কোনো জমি নাই। পরের জায়গায় একটা ঘর তুলে থাকি। জিনিসের দাম অনেক বেশি। বাজারে গেলে দাম হুইন্যাই চইল্যা আহন লাগে। আমগোর মতো গরিব মাইনসের লাইগা ঈদ করা কঠিন। আপনাগোর দেওয়া এ জিনিস আমগোর গরিবের ঘরে আনন্দ অইব।

এ ছাড়া ঢাকার কাফরুল ও সাভার, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, গাজীপুর, চাঁদপুর এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ