ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ

উষ্ণতার পরশ পেল পটুয়াখালীর পাঁচ হাজার মানুষ

সাইমুন রহমান এলিট
সাইমুন রহমান এলিট
শেয়ার
উষ্ণতার পরশ পেল পটুয়াখালীর পাঁচ হাজার মানুষ

বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী। এখানকার  বেশির ভাগ উপজেলা নদী দ্বারা বেষ্টিত। আছে নদী আর সাগরবেষ্টিত শতাধিক দুর্গম চর। এসব চরে সাধারণত প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতায়াত করে না।

শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন যখন অচল হয়ে যাওয়ার উপক্রম তখনই বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে জেলার দুর্গম এসব চরাঞ্চলে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। গত ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি টানা পাঁচ দিন  চলেছে এই কম্বল বিতরণ।

গলাচিপার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কামার হাওলা গ্রামের ৮০ বছর বয়সী বিধবা ফাতেমা বিবি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, আমারে বাবা নীলা কোম্বলডাই দাও। তোমাগো মতো কইরা বাড়িতে যাইয়া কেউ কোন দিন খবর দিয়া কোম্বল দেয় নাই।

গরিব মানুষ কোম্বল কেনার টাহা নাই। শীতের মধ্যে কষ্ট করতাম। দুই হাত তুইল্লা দোয়া করি আল্লায় হেগো সুস্থ রাহুক। হেরে যেন আমাগো মতোন মাইনষের লইগ্যা বেশি বেশি করতে পারে।
একই ইউনিয়নের নিজহাওলা গ্রামের রেনুবালা শীল (৮৬) বলেন, বাবা, এই শীতে আমি অনেক কষ্ট করছি। শীতের লইগ্যা রাইতে আগুন পোয়াইতাম। আইজ আর শীতে কষ্ট করা লাগবে না। বছুন্দরা (বসুন্ধরা) মালিকের পোলায় কোম্বল দিছে, হে সুস্থ থাহুক। আমি প্রার্থনা করি ভগবান হেগো ভালো রাহুক।

https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/February/03-02-2024/2/kalerkantho-ss-1a.jpgপটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম (৬৮) বলেন, প্রত্যেক বচ্ছর শীতে চিরা খেতা গায়ে দেই। কিন্তু শীত মানে না। মাঘের শীত বাঘের গায়েও লাগে। আমারে তো কাঁপাইয়া দেয় শীতে। রাইতে শীতে বড় কষ্ট করি। জীনে একটা ল্যাপ বা কোম্বল আমারে কেউ দেয় নাই। আমাগো মতো গরিব মাইনষ্যের খবর কেউ নেয় না। কিন্তু এহন মোনে হইছে আমাগো মতো মাইনষ্যের খবর নেওয়ার মতোও মানুষ আছে। যেরা আমার কষ্ট দেইখ্যা কম্বল দিছে আল্লায় হেগোরে ভালো রাহুক।

চর আগস্তি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সোহরাব আকন বলেন, এই বছর শীতে অনেক কষ্ট করছি। কেউ আমারে একটা কোম্বল দেয় নাই। বসুন্ধরা আমারে কোম্বল দিছে। আমাগো গেরামের হগুলডি কোম্বল পাইছে। আমি গরিব মানুষ। আমি দোয়া ছাড়া আর কী করতে পারমু। যারা আমারে কোম্বল দিছে আল্লায় হেগো ভালো করুক। গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তি বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী হুজাইফা। অন্য শিক্ষার্থীর মতোই তাকেও কম্বল উপহার দেওয়া হয়। কম্বল হাতে পেয়ে বলে ওঠে, আমরা যমজ তিন ভাই বুইন। এতো দিন একটা কোম্বল গায়ে দিয়া তিনজনে ঘুমাইতাম। রাইতে শীত করতো। আইজ রাইতে তিনজনে তিনডা কোম্বল গায়ে দিয়া ঘুমামু। এহন আমারো একটা কোম্বল হইছে।

২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল মাঠ ও ২৪ জানুয়ারি দশমিনা উপজেলা চত্বরে ও চর বোরহান বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল মাঠে প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা। আরো উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ সাহিন, দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিউজ্জামান চৌধুরী, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক ও কালের কণ্ঠর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক জাকারিয়া জামান, গলাচিপা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মু. ফোরকান কবির, ডাক্তার ফারজানা রশিদ শাম্মি প্রমুখ।  হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার ডিগ্রি কলেজ মাঠে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম (পিপিএম, বিপিএম-বার), পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান। ২১ জানুয়ারি রবিবার থেকে  কলাপাড়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অসহায় দরিদ্রদের মধ্যে ও কুয়াকাটা হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের চত্বরে কম্বল বিতরণ শুরু হয়। এরপর পটুয়াখালী পৌর এলাকার হাজী আক্কেল আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে, বাউফল শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে, বাউফল মান্তা পারিবারে, গলাচিপা পৌর এলাকার বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল মাঠে, মধ্য রতনদী তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে, দশমিনা উপজেলা পরিষদের সামনে, দশমিনার চর বোরহান বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল মাঠে, গলাচিপার চর আগস্তি মুজিবকেল্লা বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল মাঠে, রাঙ্গাবালী চর ইমারসন বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল মাঠে, বাহেরচর এলাকায় ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বাবা সমর চক্রবর্তী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর আয়েই চলত সংসার ও তিন সন্তানের লেখাপড়া। আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে স্ত্রী লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। দোকান চালানোর মতো আর কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়।

সেই দোকান ভাড়া দিয়ে সামান্য যে টাকা পাওয়া যেত, তা দিয়ে কোনো রকমে চলার চেষ্টা করে পরিবারটি। অনটনের কারণে একসময় পড়ালেখা ছাড়িয়ে বড় মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি মেজো মেয়ে সুস্মিতা চক্রবর্তী। বাবা যখন মারা যান, তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামে। শত অভাব-অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সুস্মিতা প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু আয় করার চেষ্টা শুরু করেন। সেটি আজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
এখন স্থানীয় একটি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা। নিজের লেখাপড়া আর প্রাইভেট পড়ানোর মধ্যেই থেমে থাকেননি তিনি। কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন পণ্য নিজে বানিয়ে অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এসব পণ্যের অনেকগুলো আবার সেলাইসংক্রান্ত। কাজের পাশাপাশি ছোট ভাইকেও লেখাপড়া করাচ্ছেন।
ভাইটি এবার এইচএসসি দিচ্ছে। সুস্মিতার ভাষ্য, বাবার মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আমার প্রবল চেষ্টা ও আগ্রহ ছিল। তাই আমি কখনো হতাশ হয়ে পড়িনি। কষ্ট করে হলেও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছি, ছোট ভাইটিকে পড়াচ্ছি, মায়ের সংসারেও সাহায্য করার চেষ্টা করছি। একটি সেলাই মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছিলেন তিনি। সুস্মিতা বলেন, আমি অনলাইনে বিক্রির জন্য যেসব কাজ করি, সেগুলো অনেকটাই সেলাই রিলেটেড। এই মেশিনের মাধ্যমে আমি এখন থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি দিয়ে আমি আমার আয় আরো অনেক বাড়াতে পারব, যা দিয়ে ছোট ভাইসহ নিজের লেখাপড়া চলবে। পরিবারকেও এগিয়ে নিতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

 

মন্তব্য

রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। না পারছি তাদের ঠিকভাবে খাওয়াতে, না পারছি লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না পারছি বলতে, পারছি না সহ্য করতে। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রাশিদা বেগম।

তাঁর দুচোখ দিয়ে ততক্ষণে গড়িয়ে পড়ছে পানি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত এন্তাজ আলীর স্ত্রী রাশিদা। তাঁর ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে পড়েন অনার্সে।
স্বামী বেঁচে থাকতেই বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কালীগঞ্জ বাজারে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করতেন তাঁর স্বামী। দুই বছর আগে তিনি মারা গেলে পরিবারটি বিপাকে পড়ে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়।
বাধ্য হয়ে ছোট ছেলেটি পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের হাল ধরে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায়। ছেলের এসএসসি পরীক্ষার কারণে প্রায় পাঁচ মাস দোকান বন্ধ রেখেছিলেন রাশিদা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। একটি বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছিলেন।
তাঁকে সেই পথ দেখাল বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনামূল্যে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার। এটি শুধুই একটি মেশিন নয়, তাঁর কাছে যেন বাঁচার অবলম্বন। বিধবা এই নারী বলেন, সেলাইয়ের কাজ জানতাম না, ছিল না মেশিনও। এখন দুটিই দিল বসুন্ধরা। এই মেশিন চালিয়ে আয় করার সব চেষ্টা করব, যাতে সন্তানদের খাওয়াতে পারি, লেখাপড়া করাতে পারি। যারা আমাকে এই পথ দেখিয়েছে, তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করব।

মন্তব্য

দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

    ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যে চিন্তা থেকে বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জকে বেছে নিয়েছে, তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পিছিয়ে পড়া এই উপজেলায় অসচ্ছল মানুষ যেমন আছে, তেমনি নদীভাঙন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এসব পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, নানাভাবে সমাজে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

সেই দিক চিন্তা করে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের সামাজিক সংগঠন শুভসংঘের মাধ্যমে এখানকার যে উপকারভোগীদের বাছাই করেছে, এরপর তিন মাস ধরে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছেএটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সমাজের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল এসব নারী এখন থেকে বাড়িতে বেকার সময় না কাটিয়ে রোজগার করে দুবেলা ঠিকভাবে খেতে পারবেন। উন্নতি করতে পারবেন সংসারের। লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন সন্তানদের।
ফলে এই পরিবারগুলোর এগিয়ে যাওয়ার সুফল পাবে আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ। একসময় স্বাবলম্বী এসব নারীকে দেখে পিছিয়ে পড়া অন্য নারীরাও আশাবাদী হবেন, সন্ধান পাবেন নতুন পথের। সেলাই মেশিন হাতে পাওয়া এই নারীদের হাত ধরে একদিন আরো অনেকে স্বাবলম্বী হবেন। সচ্ছলতা ফিরবে তাঁদের পরিবারে।
মেশিনপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী যেমন নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই এখন থেকে জোগাতে পারবেন, তেমনি কোনো নারী হয়তো সংসারের নানা কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমে স্বামীকে সাহায্য করতে পারবেন। স্থায়ীভাবে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরার এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।

 

 

মন্তব্য

এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

    মাওলানা রুহুল আমিন, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

আমাদের দেশের শিল্পপতিরা প্রতিদিন নাশতা খেতে বা সামান্য কাজে যত টাকা ব্যয় করেন, তা দিয়ে যদি সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে সমাজের জন্য তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁদেরই একজন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপ বা বসুন্ধরা শুভসংঘ ইচ্ছা করলে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ না করে এই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারত।

কিন্তু তারা সেটি না করে প্রান্তিক-দরিদ্র নারীদের কথা চিন্তা করে এই মহতী আয়োজন করেছেন। এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। ইসলামে নারীদের খাটো করে দেখা হয়নি। সমাজেও অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ।
ফলে তাঁদের বাদ দিয়ে সমাজের উন্নয়ন আশা করা যায় না। নারীদের বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়নই আশা করা যায় না। আজকে যাঁরা মেশিন পেলেন, তাঁরা সংসারের কাজ শেষে যদি সেলাইয়ের কাজ করেন, তবে তাঁদের সংসারে অনেক উন্নতি হবে। আপনারা একদিন মডেল হবেন, আপনাদের দেখে সমাজের আর দশজন মা-বোন বেঁচে থাকার পথ পাবেন।
অসচ্ছল নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সে জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তারা দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের উন্নতির জন্য যে কাজগুলো করে যাচ্ছে, সেটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশজুড়ে নানা সামাজিক কাজ অব্যাহত রাখবে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ