ঢাকা, শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ সফর ১৪৪৭

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উক্তি

শেয়ার
উক্তি

মানুষের ভাত জোটে না, সে সময় উপদেষ্টারা হাঁসের মাংস খুঁজতে এদিক ওদিক যাচ্ছেন।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জুলাই সনদ নিয়ে নানামুখী আপত্তি মতামত জমা ১১ দলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই সনদ নিয়ে নানামুখী আপত্তি মতামত জমা ১১ দলের

জুলাই সনদ নিয়ে নানামুখী আপত্তি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই সনদের অঙ্গীকারনামার কিছু ধারা নিয়ে দলগুলোর বিভিন্ন আপত্তি রয়েছে। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দিতে চায় না। বামদলগুলোও এ বিষয়ে আপত্তি জানাবে বলে জানা গেছে।

চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাবের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এ পর্যন্ত জামায়াতসহ ১১টি দল লিখিত মতামত জমা দিয়েছে। মতামত পাওয়ার পর তা নিয়ে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন। যার ভিত্তিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত মতামত জমা দেওয়ার বর্ধিত সময় আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় শেষ হচ্ছে।

দলগুলোর সঙ্গে মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া চূড়ান্ত করে গত ১৬ আগস্ট মতামতের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত বুধবার বিকেল ৪টার মধ্যে মতামত জমা দিতে বলেছিল কমিশন। তবে এ সময়ের মধ্যে শুধু বিএনপিসহ পাঁচটি দল মতামত জমা দেয়। বর্ধিত সময়ে জামায়াতে ইসলামীসহ আরো ছয়টি দল মতামত দিয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো মতামত দেয়নি। পাঁচটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত জমা দিতে সময় চেয়েছে। তবে তাদের সবার সঙ্গেই কমিশনের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, জুলাই সনদের যে পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছিল, যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের পর তার ওপর লিখিত মতামত দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের স্বার্থে যতটা ছাড় দেওয়া দরকার, মতামতে ততটা ছাড় দিয়েছে বিএনপি।

দলটির এখন প্রত্যাশা, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণীত ও বাস্তবায়িত হবে। তবে অঙ্গীকারনামায় থাকা কয়েকটি প্রস্তাবে  ভিন্নমত থাকলেও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এর আইনি বৈধতা এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে বলে বিশ্বাস বিএনপির। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আগামী দিনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে, সেখানে মতামত তুলে ধরবে দলটি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর যে  চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছিল, তাতে রাষ্ট্রের সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে যেসব সংস্কারে ঐকমত্য ও নোট অব ডিসেন্টসহ সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হয়। এতে একটি পটভূমি, সংস্কার কমিশনগুলো গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন ও এর কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ঐকমত্যে উপনীত হওয়া বিষয়গুলো এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা রয়েছে। এ খসড়ার ভাষাগত, শব্দ, বাক্য গঠন বা কোন বিষয়ে সংশোধনী বা যেকোনো মতামত থাকলে তা ২২ আগস্ট (আজ) বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আলী রীয়াজের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক : গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কমিশনের কর্মকাণ্ড, লক্ষ্য ও অর্জন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপ, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে জানান। বৈঠক শেষে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার কমিশনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন এবং চলমান প্রচেষ্টা সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

মন্তব্য
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

হাইকোর্টের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাইকোর্টের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ রায়ের এই দিন ধার্য করেন। শুনানিতে আসামিপক্ষ হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল রাখার আরজি জানিয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষ চেয়েছে হাইকোর্টের রায় বাতিল করতে।

আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ (মাসুদ)।

গত বছর ১ ডিসেম্বর এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায়ে বলা হয়, আইনের ভিত্তিতে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ফলে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ। তাই বিচারিক আদালতের ডেথ রেফারেন্স নাকচ এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করা হলো। এই রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ বিচারিক আদালত যাঁদের সাজা দিয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।
খালাসের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে পৃথক আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১ জুন সেই আবেদন মঞ্জুর করে ১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ (কনসাইজ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে বলা হয়। পরে ১৭ জুলাই শুনানি শুরু হয়। গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দিনের শুনানির পর মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের শুনানি হলো।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়।

আওয়ামী লীগের দাবি এই হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার রায় হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল-জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানির পর সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন উচ্চ আদালত।

মন্তব্য
সিইসির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির তাগিদ

দেশে নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) আসেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনকে নিজেদের এই ধারণার কথা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক হয় জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের। হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান মূসাসহ মোট পাঁচজন সদস্য।

 বৈঠক থেকে বের হয়ে হামিদুর রহমান আযাদ  সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের অন্যান্য দাবির সঙ্গে সিইসিকে জোরালোভাবে বলছি যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেটা এখনো অনুপস্থিত। তাঁদের এই উদ্বেগ নিরসনে কাজ করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী কী চ্যালেঞ্জ দেখছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছিলফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে আপনারা নির্বাচনের টাইমলাইন দিতে পারেন। তো আমরা এখানে সরকারকে বাধ্য করিনি।

চলতি বছরের ডিসেম্বরেও যদি নির্বাচন হয়, তাতেও জামায়াতে ইসলামীর কোনো আপত্তি নেই।

হামিদুর রহমান আযাদ জানান, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজের আসন ছাড়া আর কোনো আসন সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে কথা বলেছি।

পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ফেয়ার ইলেকশনের ব্যাপারে অলওয়েজ আমরা সিনসিয়ার ছিলাম।

এই পদ্ধতিটাও আমরা সিনসিয়ারলি মনে করি যে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। এটি একটি বেস্ট পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে বলেও মন্তব্য করন তিনি।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, আমরা গ্রহণযোগ্য সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেই হিসাবে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে মাঠে-ময়দানে জনগণের কাছে যাচ্ছি। আমরা জনমত গঠনে কাজ করছি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ