পঞ্চাশোর্ধ্ব বিধবা রাবেয়া খাতুন। জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে মানুষের বাসায় কাজ করে। তবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় এখন আর কাজ করতে পারেন না। ভিক্ষা করেই উপার্জন করতে হয় তাঁকে।
ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ
মালিহা মনজুর মৌমি

অন্যদিকে উম্মে কুলসুম, নাজু, আমেনা ও সালাম দিনমজুরের কাজ করেন। দুর্মূল্যের বাজারে স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। তা ছাড়া যেদিন কাজ পান না সেদিন আয়ের খাতাও থাকে বন্ধ।
খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লুত রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘এক দিন কোনোভাবে খাবার পেলে পরের দুদিনের খাবার কিভাবে জোগাড় করব সেই চিন্তায় থাকতে হয়। তোমাদের এই সাহায্যের কারণে কয়েকটা দিন নিশ্চিন্তে থাকতে পারব। উপহার পেয়ে সালাম বেশ খুশি ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কিছুদিন থেকেই তেমন কোনো কাজ পাচ্ছিলাম না।
কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জিনিয়া ফাত্তাহ্ বলেন, ‘আজ আমরা এখানে শুভসংঘের পক্ষ থেকে কিছু অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিলাম। আমাদের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। শুভসংঘ সর্বদা শুভ কাজের মাধ্যমে সবার পাশে আছে ও থাকবে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন সায়মা সুলতানা রিমা, উম্মে রাবেয়া রহমান, তাবাসসুম ইসলাম, মাহফুজা ফারিহা মারজান, উম্মে তিশা, তাবাসুম আক্তার তামান্না, জাইতুন নাহার, সৈয়দা মুসকান, সামিহা তাসনিম সারা, জান্নাতুন ফেরদৌস বিন্দু, ঈদিয়া জাহান খুশি, নাফিসা ইবনাত নূপুর প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ
- মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ
- দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন
- মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবে—এমনটাই আশা করি।

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক
- মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।