ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

মালিহা মনজুর মৌমি
মালিহা মনজুর মৌমি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ
অসহায়দের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন ঠাকুরগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সদস্যরা

পঞ্চাশোর্ধ্ব বিধবা রাবেয়া খাতুন। জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে মানুষের বাসায় কাজ করে। তবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় এখন আর কাজ করতে পারেন না। ভিক্ষা করেই উপার্জন করতে হয় তাঁকে।

সারা দিন ভিক্ষা করে যে টাকা আয় হয় সেটা দিয়েই কোনোক্রমে খেয়ে না-খেয়ে জীবন চলছে।

অন্যদিকে উম্মে কুলসুম, নাজু, আমেনা ও সালাম দিনমজুরের কাজ করেন। দুর্মূল্যের বাজারে স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। তা ছাড়া যেদিন কাজ পান না সেদিন আয়ের খাতাও থাকে বন্ধ।

তাই পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন যাপন করতে হচ্ছে তাঁদের। কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ঠাকুরগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সদস্যরা তাঁদের এই দুর্দশার কথা জানতে পারেন। নিজেদের টিফিনের টাকা জমিয়ে অসহায় রাবেয়া, কুলসুম, নাজু, আমেনা ও সালামদের খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাঁরা। সম্প্রতি কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে পাঁচজন অসহায় ব্যক্তির মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
উপহারের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল ও সাবান।

খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লুত রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘এক দিন কোনোভাবে খাবার পেলে পরের দুদিনের খাবার কিভাবে জোগাড় করব সেই চিন্তায় থাকতে হয়। তোমাদের এই সাহায্যের কারণে কয়েকটা দিন নিশ্চিন্তে থাকতে পারব। উপহার পেয়ে সালাম বেশ খুশি ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কিছুদিন থেকেই তেমন কোনো কাজ পাচ্ছিলাম না।

বাসায় বউ-বাচ্চাকে কিভাবে খাওয়াব তাও বুঝতে পারছিলাম না। এই খাবারগুলো পেলে আমার বউ খুব খুশি হবে। আগামী কিছুদিন খুব ভালোভাবেই কাটিয়ে দিতে পারব।’

কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জিনিয়া ফাত্তাহ্ বলেন, ‘আজ আমরা এখানে শুভসংঘের পক্ষ থেকে কিছু অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিলাম। আমাদের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। শুভসংঘ সর্বদা শুভ কাজের মাধ্যমে সবার পাশে আছে ও থাকবে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন সায়মা সুলতানা রিমা, উম্মে রাবেয়া রহমান, তাবাসসুম ইসলাম, মাহফুজা ফারিহা মারজান, উম্মে তিশা, তাবাসুম আক্তার তামান্না, জাইতুন নাহার, সৈয়দা মুসকান, সামিহা তাসনিম সারা, জান্নাতুন ফেরদৌস বিন্দু, ঈদিয়া জাহান খুশি, নাফিসা ইবনাত নূপুর প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ