ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ভাষাশহীদদের স্মরণে শুভসংঘের নানা আয়োজন

  • বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, সেই বীর শহীদদের স্মরণে এবার ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের বন্ধুরা। একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই বাংলা মায়ের সেই বীর সন্তানদের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন সারা দেশের শুভসংঘ সদস্যরা। রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলা বর্ণমালা ও শহীদ মিনার। গাছ লাগিয়েছেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সব শেষে সব বন্ধু মিলে সারা বছর এই শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
ভাষাশহীদদের স্মরণে শুভসংঘের নানা আয়োজন

শাজাহানপুর উপজেলা

জিয়াউর রহমান

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর গভীর ভালোবাসায় শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘ শাজাহানপুর উপজেলা শাখার বন্ধুরা। উপজেলার ১২টি শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে তারা। দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করতে দেখে এলাকাবাসী ও সুধীসমাজের প্রশংসা পেয়েছে দেশের বৃহত্তর সামাজিক সংগঠন শুভসংঘ। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু।

পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা, শুভসংঘ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আলহাজ আবু জাফর আলী, অধ্যক্ষ এ এইচ এম শফিকুত তারিক মাসুম, রাশেদ মো. সাজ্জাদুর রহমান, আওরঙ্গজেব, হায়দার আলী, রেজাউল হাসান জিন্নাহ, জাহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, আব্দুল হালিম দুদু, আতিকুর রহমান, জিয়াউল হক, সৈয়দ মনির হোসেন ময়না প্রমুখ।

পঞ্চগড় জেলা

লুৎফর রহমান

ভাষার মাস উপলক্ষে সারা দেশের শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে পঞ্চগড়েও এই কর্মসূচি পালন করেছেন শুভসংঘের সদস্যরা। পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন শুভসংঘের বন্ধুরা। শহীদ মিনারের চারপাশে পরিষ্কার করাসহ রং করার কাজে অংশ নেন পঞ্চগড় জেলা শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব, শুভসংঘের সদস্য হুমায়রা জান্নাত নিশা, কাশমিরা আক্তার, জান্নাতুন মিরানা, ইয়াসমিন আক্তার সুমি, হুমায়রা আক্তার হ্যাপি ও নুর ইসলাম আলিফ।

এ সময় তাঁরা ১২ মাস শহীদ মিনার এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

গফরগাঁও উপজেলা

নজরুল ইসলাম

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের উদ্যোগে শহীদ মিনার ধোয়ামোছা করেছে খুদে শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় ইসলামিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ধোয়ামোছার কাজে অংশ নেয় জান্নাতুল ফেরদৌসি সুপ্রীতি, জান্নাতুন নূর, রিয়াম, রাপ্তি মনি, ফাতিহা মনি, আভিয়ান, সাউদি মনি, তোবা মনি, তাহমিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি আব্দুল হামিদ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ ফারুকী, গফরগাঁও ইসলামিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসনা হেনা খাতুন রত্না, অভিভাবক আবুল হাসেম, আওয়ামী লীগ নেতা বুলবুল হোসেন কালু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, শামীমা আক্তার, সেলিনা, হাসানুজ্জামান রাসেল, মনিরুল ইসলাম শিমুল, মনি, রুমা, জুলি প্রমুখ।

ফুলছড়ি উপজেলা

ফুয়াদ হাসান

উপজেলা হেডকোয়ার্টার কালীর বাজার এলাকার নাপিতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি শুভসংঘের বন্ধুরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. স্বপ্না খাতুন, উপজেলা শুভসংঘের সহসভাপতি শিমুল হাউলিদার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান, নারীবিষয়ক সম্পাদক চয়নিকা আকতার সীমা, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক তৃপ্তি রানী, উপক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সোহান আকন্দ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফুয়াদ হাসান, শিক্ষক মো. রোস্তম মিয়া প্রমুখ। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন বলেন, শহীদ মিনার পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে শুভসংঘ একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

ঠাকুরগাঁও জেলা

পার্থ সারথী দাস

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কৃষ্ণচূড়াগাছের চারা রোপণ করেছে ঠাকুরগাঁও শুভসংঘ। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠ কেন্দ্র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুসা রাখাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেরাব হোসেন, সদস্য সৈয়দ জাকির হোসেন, রিফাত রেজওয়ান সামিন, সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মালিহা মনজুর, জিনিয়া ফাত্তাহ, আফিফা হাবিব প্রত্যাশা, জেমিসা আলম, তাম্মী শাহরীন দিশা, সুমাইয়া আক্তার, মির ছাবিত, এস এম ইসফার, ওয়াজিহ তাওসিফ চৌধুরী, কারিজ রহমান, নাজ্জাতুল ইসলাম, তাসনিমুল হাসান, ফুয়াদ হাসান, তানভির আনজুম হিমেল, মজিউজ জামান মৃদুল, চন্দন রায় ও পরিতম বর্মণ।

গাইবান্ধা জেলা

অমিতাভ দাশ হিমুন

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বরে এই আয়োজনে শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়। শুভসংঘের জেলা সভাপতি অধ্যাপক তৌহিদা মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, বাচিক শিল্পী দেবাশীষ দাশ দেবু, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, বাচিক শিল্পী শিরিণ আকতার, শুভসংঘের জেলা সম্পাদক লতা সরকার প্রমুখ। গাইবান্ধাসহ সারা দেশে শুভসংঘের নানা কল্যাণমুখী কাজের প্রশংসা করে রাফিউল আলম বলেন, নতুন প্রজন্মের তরুণদের হৃদয়ে শুভ কাজে অংশগ্রহণের প্রণোদনা জাগিয়ে শুভসংঘ এখন বৃহত্তর সামাজিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে চারটি বিভাগের ২১ জন বিজয়ী শিশু-কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন শুভসংঘের জেলা সহসম্পাদক তানজিমুল ইসলাম হাউলিদার, সামিউল ইসলাম সাকিব, দেবী সাহা, উম্মে কুলসুম তালুকদার তুলনা, রওজাতুন্নাহার লাবন্য, সারাফ সোহাইবা নিহা, রাকিবুল হাসান হৃদয়, জয়কুমার দাস, শিমুল হাউলিদার, নাহিদ হাসান, ফুয়াদ হাসান প্রমুখ।

গলাচিপা উপজেলা

সাইমুন রহমান এলিট

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ গলাচিপা শাখা। স্থানীয় মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিযোগিতা শেষে শিশুদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ গলাচিপা শাখার উপদেষ্টা আবু বাকার শিবলী, মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল, সাইদুর রহমান, সাইমুন রহমান এলিট, সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব খন্দকার, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক লিজামনি, সদস্য মামুন সিরাজ, মশিউর রহমান, কলেজ শাখার খালিদ ইবনে ওয়ালিদ ঋতু পার সৈতি প্রমুখ।

গঙ্গাচড়া উপজেলা

রায়হান কবির

অন্য রকম ভালোবাসায় মেতেছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘ গঙ্গাচড়া শাখার বন্ধুরাও। তাঁদের সবটুকু ভালোবাসা অর্পণ করেছেন ভাষাশহীদদের। ভাষা দিবস ঘিরে ঝকঝকে পরিষ্কার করেছেন উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শহীদ মিনার পরিষ্কারকালে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘ গঙ্গাচড়ার উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম, স্থানীয় সমাজসেবক জমিদার রহমান এবং কেন্দ্রীয় শুভসংঘের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি স্বপন চৌধুরী। শহীদ মিনার পরিষ্কারে অংশ নেন গঙ্গাচড়া শাখার মোফাক খায়রুল ইসলাম মিলন, রায়হান কবির, তুহিন ইসলাম, ফারজানা আক্তার নওরিন, আল্পনা রিতু, শাফিন আহম্মেদ, মিল্লাত হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সজীব ইসলাম, আয়শা সিদ্দিকা মনীষা, মেহেদী হাসান প্রাণ, মেরাজুল ইসলাম, মিরান আহম্মেদ, রুহুল ইসলাম রয়েল, তৌহিদ আহম্মেদ, সুমন মিয়া, মানিক মিয়া, শাকিলা জামানসহ অন্য বন্ধুরা।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা

মাসুদ রানা

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ময়লা-আবর্জনায় নোংরা হয়ে ছিল। ভাষা আন্দোলনের মাসে উপজেলা শুভসংঘের বন্ধুরা ভাষাশহীদদের স্মরণে ও সম্মানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিষ্কার করেন। উৎসাহ দিতে শুভসংঘের বন্ধুদের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন পাখি। শুভসংঘের ১৫ জন সদস্য মিলে ঝাড়ু দিয়ে শহীদ মিনারের মূল বেদি ও আশপাশে ছড়িয়ে থাকা পশুপাখির বর্জ্য পরিষ্কার করেন। পরে মূল বেদি পানি দিয়ে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী তাঁরা এই পরিষ্কার কার্যক্রম চালান। সব শেষে শহীদ মিনারে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানান শুভসংঘের বন্ধুরা।

পাবনা জেলা

আহমেদ উল হক রানা

ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ভালোবাসা দিবস পালন করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ পাবনা জেলা কমিটি। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় দিবসটি তাঁরা উৎসর্গ করেছেন শহীদ মিনার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। শুভসংঘের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন নজর কেড়েছে শহরবাসীর। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভাষা আন্দোলন গবেষক এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এম আব্দুল আলীম। শুভসংঘের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা। পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান জানান, ভালোবাসার বিভিন্ন রূপ বিভিন্নভাবে যে প্রকাশ করা যায় ভাষাশহীদদের প্রতি দিবসটি উৎসর্গের মাধ্যমে শুভসংঘের সদস্যরা তা প্রমাণ করেছেন। এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা

দিলীপ কুমার মণ্ডল

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার বন্ধুরা। সম্প্রতি ফতুল্লার হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন শুভসংঘের সদস্যরা। শুভসংঘের এমন কাজের প্রশংসা করেন উপস্থিত সবাই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকাজে অংশ নেন শুভসংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মামুনুর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত মণ্ডল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ চন্দ্র দাস, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক জিয়া প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ