ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ

সেবার মানসিকতায় তৈরি হোক আগামীর চিকিৎসকরা

  • শুভসংঘের নতুন কমিটি
জাকারিয়া জামান
জাকারিয়া জামান
শেয়ার
সেবার মানসিকতায় তৈরি হোক আগামীর চিকিৎসকরা
নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ শাখা শুভসংঘের নতুন কমিটির বন্ধুরা

গায়ে এপ্রোন জড়িয়ে হেমন্তের সকালে নিজেদের ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছেন বেশ কিছু তরুণ ভবিষ্যৎ ডাক্তার, যেন একঝাঁক সাদা পায়রা। আজ থেকে নতুন করে শুরু তাঁদের এই একত্রে পথচলা। তাঁরা সবাই নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী। এত দিন সবাই ক্লাসে এসেছেন, আবার ক্লাস করে বাসায় ফিরে গেছেন।

একসঙ্গে বসে কোনো ভালো কাজের আগ্রহ থাকলেও সুযোগ ছিল না। আজ তাঁদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। শুভ কাজে সবার পাশে থাকার প্রত্যয়ে তাঁদের এই একত্র হওয়া।

গত ২৬ অক্টোবর বুধবার নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হলরুমে শুভসংঘের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

এটা ছিল শুভসংঘের দ্বিতীয় মেডিক্যাল কলেজ শাখা কমিটি। নতুন কমিটি গঠন সভায় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শেখ আকবর হোসেনসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কমিটি গঠন করার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় শুভসংঘের কাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরপর সবার মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়।

নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা নতুন কমিটির অন্য উপদেষ্টারা হলেন অধ্যক্ষ ডা. শেখ আকবর হোসেন, অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ মিয়া ও অধ্যাপক ডা. ব্রি. জে. (অব.) খুরশিদ আলম। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচন করা হয় ফাহমুদুর রহমান তনুকে এবং অবিনাশ সরকারকে সাধারণ সম্পাদক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—সহসভাপতি বিজন রায় ও মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মারুফুর রহমান ও গাজী সালাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ বিন গনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তামজীদ হাসান, কোষাধ্যক্ষ জাবেদ হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঞ্চারী সরকার শ্রেয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক নিরালা নেপালী ও নারীবিষয়ক সম্পাদক লামিয়া সরকার।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্যরা হলেন সিফাত হোসেন, ইরশাদুল হক, আল-আমীন হোসেন, শামসুন্নাহার মুক্তা, দীপক দাস, মো. সিরাজুম মুনির, সনিয়া ইসলাম, সাদী মো. অদীল, সুমন মিয়া, রাফী রেজওয়ানা আলভি ও সুমাইয়া শহীদ।

শুভসংঘের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসনস্বল্পতা ও গ্রামবাংলার অবহেলিত বিশাল চিকিৎসাবঞ্চিত জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নর্দান মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় একটি অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে সেবার মানসিকতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের শিক্ষকরা। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বমানের চিকিৎসক হয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এখন শুভসংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের এই মনোবল আরো বাড়বে। গরিব-দুঃখী মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে তারা।’

কলেজের অধ্যক্ষ শেখ আকবর হোসেন বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে দক্ষ চিকিৎসক তৈরির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে করে দেশেই ভালো চিকিৎসক তৈরি হয় এবং রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পায়। এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরো বেশি করে সেবার মানসিকতা অর্জন করবে। দেশের দুর্যোগে তারা অবহেলিতদের পাশে দাঁড়াবে।’

নতুন কমিটির সভাপতি ফাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের সবার স্বপ্ন ভালো চিকিৎসক হওয়া, সেই সঙ্গে ভালো মানুষ হওয়া। আমরা শুভসংঘের সঙ্গে মিলে অসহায়ের পাশে দাঁড়াব। চিকিৎসাসেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেব।

লামিয়া সরকার বলেন, মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই কোনো একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো কাজ করতে চেয়েছিলাম। আজ সেই ইচ্ছা পূর্ণ হলো। সবাই মিলে কল্যাণমূলক নানা কাজে আত্মনিয়োগ করব। পড়াশোনার পাশাপাশি দেশসেবায় আমরা কাজ করব। আমরা তরুণরা যদি দেশ ও সমাজের সেবায় এগিয়ে আসি, তা হলে অন্যরাও আমাদের মতো এগিয়ে আসবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ