একা শাকিব ভাই [শাকিব খান] তো ইন্ডাস্ট্রি টেনে নিতে পারবেন না। পাশাপাশি আরো অভিনেতা দরকার। সে তালিকায় আমিও থাকতে চাই। এর মধ্যে অভিনয়ে এক যুগ হয়ে গেল, বলতে পারেন এত দিন ধরে নিজেকে চলচ্চিত্রের জন্যই প্রস্তুত করেছি
‘আলী’র পোস্টার প্রকাশের পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সামাজিক মাধ্যমে পোস্টারটি নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে।
সহকর্মীরাও ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মনে হচ্ছে সবাই খুব পজিটিভভাবে নিয়েছেন। আগে কখনো এমন রাফ অ্যান্ড টাফ অবতারে হাজির হইনি। সেদিক থেকে বলতে পারেন আমার কাছ থেকে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছেন দর্শক।
কানে স্পেশাল মেনশন পেল আদনান আল রাজীবের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘আলী’। পরদিনই একই নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির পোস্টার প্রকাশ করায় অনেকেই দ্বিধায় পড়ে গেছেন...
আমরা আসলে জানতাম না আদনান আল রাজীব ভাই এই নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেছেন। আমাদের ছবিটা গত বছরই চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। শুটিংও শেষ হয়েছে এ বছরের প্রথম দিকে।
তবে অস্বীকার করার কারণ নেই, বিষয়টা সাংঘর্ষিক হয়েছে। আমরা হয়তো আরো কিছুদিন পরে পোস্টারটা রিভিল করতে পারতাম।
তা ছাড়া এখন ঈদের মৌসুম। ঈদের ছবির পোস্টার, টিজার, ট্রেলার প্রকাশের সময়ে এলো ‘আলী’র পোস্টার। এতেও কিন্তু অনেকে দ্বিধায় পড়েছেন, ভেবে নিয়েছেন ‘আলী’ ঈদের ছবি।
আমরা আসলে ঈদেই মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ছবিটির প্রমোশনের দায়িত্বে আছে অ্যাডকম। তারাই সব কিছু দেখছে। এদিকে কিছুদিন আগে জানতে পারলাম ঈদে একটি-দুটি নয়, ৯টি ছবি মুক্তির দৌড়ে। আমরা সরে দাঁড়ালাম। আসলে সুন্দর একটি গল্প, সুন্দর একটি নির্মাণ যদি হলের অভাবে মানুষ দেখতে না পারে তাহলে এ সময় মুক্তি দিয়ে কী লাভ?
‘আলী’র গল্প কেমন? কবে মুক্তি পাবে?
পোস্টার দেখে অনেকে মনে করছেন তুমুল অ্যাকশনের ছবি। হ্যাঁ, অ্যাকশন আছে। তবে বেশি যেটা আছে সেটা ইমোশন। দুই ভাই-বোনের ইমোশনই ছবির প্রাণ। আমি বোবার চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটির জন্য দীর্ঘদিন আমাকে ইশারা ভাষা শিখতে হয়েছে। পুরো ছবিতে আমার মুখে কোনো সংলাপ না থাকলেও বডি ল্যাংগুয়েজ দিয়ে অনেক কিছু বলতে হয়েছে। আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের দিকে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তখন ঈদের ছবিগুলো নেমে যাবে, নতুন ছবির চাহিদা তৈরি হবে। আশা করছি, দর্শক ছবিটি দেখবেন।
২০১৩ সালে ‘ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁদের ব্যানারে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে আর চলচ্চিত্রে কন্টিনিউ করলেন না কেন?
ওই সময়টায় যে ধরনের ছবি নির্মাণ হতো সত্যি বলতে আমার ভালো লাগত না। এমনকি ২০২০ সাল পর্যন্তও দেখেন, বাণিজ্যিক ছবির নামে যা তৈরি হয়েছে তাতে দর্শকও বিরক্ত ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্রের দিন বদলাতে শুরু করেছে মাত্র দুই-তিন বছরে। এখন হলগুলোও সংস্কার হচ্ছে, মাল্টিপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে, দেশের বাইরেও বাজার বেড়েছে। নতুন মেধাবী নির্মাতারা আসছেন। এখন আমি চলচ্চিত্রে থিতু হতে চাই। এই সময়ের গল্প, নির্মাণ, প্রেজেন্টেশনের ভক্ত হয়ে গেছি। এখন থেকে দর্শক আমাকে বড় পর্দাতেই বেশি পাবেন।
এই জন্যই কি নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিচ্ছেন?
একদম তাই। অপেক্ষায় ছিলাম এই দিনের। একা শাকিব ভাই [শাকিব খান] তো ইন্ডাস্ট্রি টেনে নিতে পারবেন না। পাশাপাশি আরো অভিনেতা দরকার। সে তালিকায় আমিও থাকতে চাই। এর মধ্যে অভিনয়ে এক যুগ হয়ে গেল, বলতে পারেন এত দিন ধরে নিজেকে চলচ্চিত্রের জন্যই প্রস্তুত করেছি।
ঈদে কোনো নাটক করেননি?
না। ‘আলী’ নিয়েই আছি। হয়তো আগে শুটিং করা কোনো নাটক ঈদে আসতে পারে। তা ছাড়া গত ঈদে প্রচারিত হওয়া ‘ফায়ার ফাইটার’ এবার ইউটিউবে আসবে। নাটকটা নিয়ে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস কিছু প্রমোশনাল উদ্যোগও নিয়েছে।
কোনো ওয়েব ছবি বা সিরিজে অভিনয় করছেন?
কথা চলছে। ঈদের পরে চূড়ান্ত হবে। তখন জানাব।