ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

শোনো মহাজন আমরা অনেকজন

  • ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বেশ কিছু গান উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তবে যে গানের একাধিক লাইন স্লোগানের মতো ছড়িয়ে গেছে, সেটি ‘শূন্য’ ব্যান্ডের ‘শোনো মহাজন’। এক দশক আগের গানটি যেন পুনর্জন্ম পেল এই বিপ্লবে। তার রেশ ধরে ‘শূন্য’র দলপ্রধান ও ভোকাল ইমরুল করিম এমিলের সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম
শেয়ার
শোনো মহাজন আমরা অনেকজন
ইমরুল করিম এমিল ছবি : ড্রিম অব আর্ট

এই গানের মাধ্যমে আমরাও ছাত্র-জনতার বিপ্লবে অংশ নিতে পেরেছি। অনেকের মন্তব্য দেখেছি, আন্দোলনের সময় যাঁদের হয়তো একটু মন খারাপ ছিল, আমাদের গানটা শুনে তাঁরাও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন

 

পুরনো গানের পুনর্জন্ম

গানের বাণী যখন চিরন্তন হয়, তখন সেটি কালের সীমানা জয় করে। শূন্যর এই গান তারই নবীন উদাহরণ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ব্যান্ডটির চতুর্থ অ্যালবাম ভাগোর গান এটি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এটি অন্তর্জালের ভিডিও থেকে মিছিলের স্লোগান, এমনকি দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি হিসেবেও ছড়িয়ে গেছে। পুরনো গানের পুনর্জন্মে খুবই গর্বিত এমিল ও শূন্যর সদস্যরা। এমিল বলেন, এই গানের মাধ্যমে আমরাও ছাত্র-জনতার বিপ্লবে অংশ নিতে পেরেছি। অনেকের মন্তব্য দেখেছি, আন্দোলনের সময় যাঁদের হয়তো একটু মন খারাপ ছিল, আমাদের গানটা শুনে তাঁরাও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, অংশ নিয়েছেন প্রতিবাদে।
শুধু এবারই নয়, আগেও বিভিন্ন প্রতিবাদ-আন্দোলনে গানটা ব্যবহূত হয়েছে। যাঁরা গানটিকে এমন ভালোবেসে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

 

মহাজনের নেপথ্যের গল্প

শোনো মহাজন, আমি নয়তো একজন, শোনো মহাজন, আমরা অনেক জন’—এমন কথার গানটি ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে রচনা করা হয়েছিল? এমিলের জবাব, নির্দিষ্ট কাউকে মাথায় রেখে গানটি বানানো হয়নি। সাধারণ একটা ভাবনা থেকেই বানানো।

একজন ব্যক্তি মানুষ হতে পারে, সরকার হতে পারে, কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা পরিবার হতে পারে। সেখানে যদি কেউ চাপ কিংবা হতাশা অনুভব করে, তার ভাবনার জায়গা থেকেই এই গান। এটি লিখেছেন শাহান কবন্ধ। তিনি যেমন অনুভব করেছেন, আমরাও গানটি কম্পোজ কিংবা পারফরম করার সময় সে আবেগ অনুভব করেছি। এবারের আন্দোলনে গানটি নতুনভাব অর্থবহ হয়ে উঠেছে দেখে আরো ভালো লাগছে।
আরেকজন মানুষের কথা বিশেষভাবে বলতে চাই, তিনি ফুয়াদ আল মুক্তাদির। এই গানের প্রযোজক। গানের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টসহ সবই তাঁর করা। ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে তখন ছিলাম আমি, শাকের, মাইকেল ও লাবিব। এটা একটা সমন্বিত কাজ। তাই সবার ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ।

 

কানাডায় কনসার্ট

শূন্য এখন অবস্থান করছে দূর দেশ কানাডায়। সেখান থেকেই এমিল জানালেন, দুটি কনসার্টের জন্য এই সফর। কিছু দিন আগে একটি কনসার্ট সম্পন্ন হয়েছে। অন্যটি হবে ১৭ আগস্ট। এমিল বলেন, কানাডার টরন্টোতে বিজয়ের গান থিমে রক ফেস্ট হচ্ছে। এখানে শোনো মহাজন-এর পাশাপাশি আমাদের অনুপ্রেরণামূলক গানগুলো করব। সম্প্রতি আমরা যে নতুন এক স্বাধীনতা পেয়েছি, সেটার উদযাপনও হবে এই কনসার্টে। কনসার্টে আরো পারফরম করবেন গায়ক তাহসান, ব্যান্ড আরবোভাইরাস, আয়রনক্লেফ, সেক্টর ২.০।

 

শূন্যের ব্যস্ততা

২০০৭ সালে গঠিত হয় ব্যান্ডটি। পরের বছরই প্রকাশিত হয় প্রথম অ্যালবাম নতুন স্রোত। পথচলার লম্বা সময়ে গান প্রকাশ ও কনসার্ট অব্যাহত রেখেছেন শূন্যর সদস্যরা। এখনকার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এমিল বলেন, ১৬ বছরের জার্নিতে আমরা এর আগে পাঁচটা একক অ্যালবাম ও অনেকগুলো সিঙ্গেলস প্রকাশ করেছি। এখন নতুন গান তৈরির চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবেগ-অনুভূতি ভিন্ন। সেসব আবেগ নিয়ে গান বাঁধার চেষ্টা করছি। অব্যক্ত-অজানা গল্পগুলো গানে গানে তুলে আনতে চাইছি। এর বাইরে দলের সদস্যদের পরিবার, স্ত্রী-সন্তান আছে। সেসব দিকেও মনোযোগ দিতে হচ্ছে। পরিবারের পাশাপাশি যতটা সম্ভব ব্যান্ডে সময় দিচ্ছি।

 

ভক্তদের জন্য বার্তা

শূন্যর সর্বশেষ গান কাছে আসার এই গল্পে এসেছে দেড় বছর আগে। এরপর বিভিন্ন কনসার্টে পারফরম করলেও নতুন গান প্রকাশ করেনি। এ নিয়ে ভক্তদের কিছুটা আক্ষেপ আছে। তাঁদের উদ্দেশে এমিলের বার্তা, এত বছর ধরে আমাদের গান শোনা এবং সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা মিউজিক কখনো বন্ধ করব না। অর্থবহ গান করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। এ জন্যই সময় নিয়ে কাজ করছি। এক-দুই বছরে একটা গান প্রকাশ করব। আশা করি শ্রোতারা পাশে থাকবে।

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আরো খবর

শেয়ার
আরো খবর

ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সূর্য দীঘল বাড়িখ্যাত বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের। শনিবার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। 

গানচিত্রের মডেল হয়েছেন শবনম বুবলী। তানিম রহমান অংশুর নির্মাণে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে গানচিত্রটির শুটিং।

কলকাতার আকাশ সেনের সুরে গানটি কে গেয়েছেন, তা জানাননি সংশ্লিষ্টরা।

ক্যানসারে আক্রান্ত মেকানিক্স ব্যান্ডের সাবেক গিটারিস্ট ইমরান আহমেদ। ব্যান্ডটি থেকে অনেক আগেই তিনি সরে এসেছেন। তবে সে ব্যান্ডটি এগিয়ে এসেছে তাঁর চিকিৎসা সহায়তায়।

২৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট ফর ইমরান। এতে মেকানিক্সের সঙ্গে পারফরম করবে সোনার বাংলা সার্কাস, হাইওয়ে, পাওয়ারসার্জসহ আটটি ব্যান্ড।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এক মলাটে জুলাইয়ের ৬৩ গান

শেয়ার
এক মলাটে জুলাইয়ের ৬৩ গান

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যেসব গান প্রেরণা জুগিয়েছিল, উদ্বুদ্ধ করেছিল, সেই গানগুলো এবার পাওয়া যাবে এক মলাটে। আলোকচিত্রী ও অ্যাকটিভিস্ট মনজুর হোসেনের উদ্যোগে জুলাইয়ের গান শিরোনামে বইটি শিগগির প্রকাশ করা হবে। মনজুর হোসেন বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে সময়ের দলিল হিসেবে ধরে রাখতে তিনি বইটি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ঢাকার রাস্তায় কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নামে শিক্ষার্থীরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে তারা। ঠিক সেই সময়ে কথা ক শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন বাংলাদেশি র‌্যাপার মোহাম্মদ সেজান। পাশাপাশি র‌্যাপার হান্নান করেন আওয়াজ উডা বাংলাদেশ। দ্রুত তরুণদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে গানগুলো।
নতুন প্রতিবাদের প্রতীকে পরিণত হয়। এর বাইরে আরো বেশ কয়েকটি গান তখন মানুষকে সাহস জোগায়। ১৫ জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত যেসব গান প্রকাশিত হয়েছে, সেখান থেকে ৬৩টি গানের সংকলন এই জুলাইয়ের গান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
অন্তর্জাল

দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো

শেয়ার
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো
‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য

দুই সিজনের সাফল্যের পর নেটফ্লিক্সে চলছে কমেডি অনুষ্ঠান দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোর তৃতীয় সিজন। শনিবার এসেছে নতুন পর্ব। এতে অতিথি হয়েছেন ওটিটির চার তারকা অভিনেতাজয়দীপ আহলাওয়াত, বিজয় বর্মা, জিতেন্দ্র কুমার ও প্রতীক গান্ধী। তাঁদের সঙ্গে মজাদার আড্ডায় কপিল শর্মার সঙ্গে রয়েছেন সুনীল গ্রোভার, কিকু শারদা, ক্রুষ্ণা অভিষেক প্রমুখ।

এ ছাড়া বিশেষ চমক হিসেবে এসেছেন কে-পপ তারকা জ্যাকসন ওয়াং।

মন্তব্য
চলচ্চিত্র

কুলি

শেয়ার
কুলি
‘কুলি’ ছবিতে ওমর সানী

অভিনয়ে ওমর সানী, পপি, হুমায়ুন ফরীদি। পরিচালনা মনতাজুর রহমান আকবর। সকাল ১০টা ১০ মিনিট, আরটিভি।

গল্পসূত্র : কেরামত আলী ব্যাপারী খুবই লোভী ও অহংকারী মানুষ।

মেয়ে পপির বিয়ের জন্য ঘটক যত পাত্রের ছবি দেখায় কোনোটাই পছন্দ হয় না তার। কারো বয়স বেশি, কারো আয় কম। ঘটক রেগে গিয়ে বলে বসে, এত বাছবিছার করলে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে মেয়ের বিয়ে হবে কোনো কুলির সঙ্গে। ঘটনা তাই ঘটে।
রেল স্টেশনের কুলি রাজু প্রেমে পড়ে পপির। বড় ব্যবসায়ী সেজে পপিকে বিয়ে করে সে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ