<p style="text-align:center"><span style="color:#d35400"><strong>একটা ভালো মানের ছবি নির্মাণে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা সৎপথে আয় করি। আমাদের মতো মানুষ একা একটা ছবি প্রযোজনা করার ক্ষমতা রাখে না</strong></span></p> <p> </p> <p><strong>‘বৃদ্ধাশ্রম’ মুক্তি নিয়ে কী কী পরিকল্পনা করেছেন?</strong></p> <p>আমরা অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছি। এরই মধ্যে ছবির ট্রেলার সাড়া ফেলেছে। দর্শক দারুণ সব মন্তব্য করছেন ট্রেলার দেখে। অনেকে বলছেন, সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে এবং সচেতনতা বাড়াতে নির্মিত ছবিটি হলে গিয়ে দেখবেন। এখন আমি হল মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিশেষ করে সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টারসহ দেশের ভালো মানের হলগুলোতে ছবিটি প্রদর্শনের সুযোগ চাই। আমার বিশ্বাস, ছবিটি একবার কেউ দেখলে পরেরবার  পরিবারসহ আসবেন হলে।</p> <p> </p> <p><strong>আপনার পরিচালনায় প্রথম ছবি ‘বৃদ্ধাশ্রম’। এই গল্পটি বেছে নেওয়ার কারণ কী?</strong></p> <p>সব সময় আমার বিশেষ দিনগুলো বস্তিতে, এতিমখানায়, কমলাপুর রেলস্টেশন বা বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়েছি। জন্মদিন হলে তো কথাই নেই, পুরোটা দিন সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত মানুষের সঙ্গে থেকেছি। ২০১৩ সালে ‘প্যারেন্টস কেয়ার অ্যাক্ট’ নামে একটা আইন পাস হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। তখনই মনে হয়েছে এই আইনটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। তাহলে সমাজের মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের কাছে শেষ বয়সে অবহেলার শিকার হবেন না। সেই ভাবনা থেকে গল্পটি করা।</p> <p> </p> <p><strong>গল্পটি সরকারি অনুদানের জন্য জমা দেওয়ার কারণ কী ছিল?</strong></p> <p>একটা ভালো মানের ছবি নির্মাণে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা সৎপথে আয় করি। আমাদের মতো মানুষ একা একটা ছবি প্রযোজনা করার ক্ষমতা রাখে না। তাই ভাবলাম অনুদান থেকে যে টাকাটা পাব তার সঙ্গে নিজের টাকা যোগ করলে ছবিটি নির্মাণ করতে সহজ হবে। তবে এই পথ মসৃণ ছিল না। পরপর তিনবার অনুদানে গল্পটি বাতিল হয়। চতুর্থবার জুরি বোর্ডে পাস হয়।</p> <p> </p> <p><strong>এবারও আপনি ছবির জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছেন...</strong></p> <p>আমার এবারের ছবির নাম ‘নীল আকাশে পাখি ওড়ে’। এই গল্পটিও আমার লেখা। পরিচালনাও আমি করব। শুধু যে অনুদানের ছবিই নির্মাণ করছি তা নয়, আরো দুটি গল্প লেখার কাজ চলছে। ওই দুটি গল্প নিয়েও এ বছর ছবি নির্মাণ শুরু হবে। প্রতিটি ছবিই হবে তারকাবহুল। ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এ ইয়ামিন হক ববি, হাসান ইমাম, শম্পা রেজা, প্রবীর মিত্র, বড়দা মিঠু, আফজাল শরীফ, আমিসহ বড় বড় সব অভিনয়শিল্পীরা আছেন। পরের ছবিগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা থাকবে।</p> <p> </p> <p><strong>অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা—একটু চাপ হয়ে যায়নি?</strong></p> <p>একসময় নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় করতাম। অনন্যা গ্রুপ থিয়েটারের সদস্য ছিলাম। তা ছাড়া দেড় শর মতো মিউজিক ভিডিও বানিয়েছি আমি। আমার পরিচালনায় অনেক বিজ্ঞাপনচিত্রও আছে। অভিজ্ঞতা আগে থেকে ছিল বলেই তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তা ছাড়া ছবির গল্প আমার লেখা হওয়াতে শুটিংয়ের সময় সুবিধাও পেয়েছি বেশ।</p> <p> </p> <p><strong>অন্যের পরিচালনায় কাজ করবেন না?</strong></p> <p>সব সময় চাই অন্যের সঙ্গে কাজ করতে। এর মধ্যে তিন-চারটি প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। কিন্তু সব নির্মাতা আমাকে নেগেটিভ চরিত্রের জন্য ভেবেছেন। এটা আসলে কষ্টকর। শেষ যে প্রস্তাবটা পেলাম, গল্পটা এমন—আমি পরকীয়া করি, একসময় পরকীয়ার জেরে একজনকে খুনও করে ফেলি। এখন বলেন, এই চরিত্রটা করলে আমার এত দিনের যে ভক্তরা আছেন তাঁরা কি মেনে নেবেন?</p> <p> </p> <p><strong>নতুন গান করছেন না?</strong></p> <p>প্রতি মাসেই একটি-দুটি করে গান করছি ‘এস ডি রুবেল ফাউন্ডেশন’ থেকে। আমরা যাঁরা ক্যাসেটের যুগে এসেছি, তাঁদের গান শ্রোতারা শুনতেন, দেখতেন না। এখন গানের প্রধান মাধ্যম ইউটিউব। সেখানে অডিওর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ভিডিও লাগে। নইলে ইউটিউব প্রমোটও করে না। একটা দৃষ্টিনন্দন ভিডিও ও শ্রুতিমধুর গান তৈরি করতে গেলে অন্তত পাঁচ-সাত লাখ টাকা লাগে। সেটা কী করে একজন শিল্পী বহন করবেন? এ ক্ষেত্রে করপোরেট কম্পানিগুলো এগিয়ে না এলে ভবিষ্যতে গানের বাজার আরো খারাপ হবে।</p> <p> </p>