<p>দেশে বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা। যার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে প্রতিরোধ—স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক সক্রিয়তা। তাই ডায়বেটিস ঘিরে বিস্কুট কম্পানিগুলোও প্রতিযোগিতা করছে কিভাব স্বাস্থ্যসম্মত ডায়াবেটিক বিস্কুট তৈরি করা যায়।</p> <p>রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সুপারশপে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন নামে সুগার ফ্রি বিস্কুট রয়েছে। ওয়েল ফুড সুগার ফ্রি কুকিজ, হকের সুগার ফ্রি বিস্কুট, হকের সুগার ফ্রি ক্রিম ক্রেকারস, বনফুল ব্র্যান্ডের ডায়েট বিস্কুট, কিষোয়ানের সুগার ফ্রি বিস্কুট, প্রাণের বিস্ক ক্লাব সুগার ফ্রি বিস্কুট, টিফানি সুগার ফ্রি বিস্কুট, টিফানি সুগার ফ্রি লেমন ক্রিম বিস্কুট, মর্নিং সুগার ফ্রি বিস্কুট, মর্নিং সুগার ফ্রি টোস্ট, রোমানিয়ার লেক্সাস জিরো ক্রেকারস, অলিম্পিকের লেক্সাস বিস্কুট, নাটরি সুগার ফ্রি ক্রেকারসসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন নামে সুগার ফ্রি ডায়াবেটিক বিস্কুট পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডায়াবেটিক বিস্কুটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। করোনার আগের তুলনায় এখন ডায়াবেটিক বিস্কুটগুলোর চাহিদা ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান তাঁরা।</p> <p>বাজার সারাবেলা সুপারশপের ম্যানেজার বাহারুল ইসলাম বাহার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এখন দেশ-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি বিস্কুট রয়েছে। এসব বিস্কুটের চাহিদাও আছে প্রচুর। করোনার কারণে সুগার ফ্রি বিস্কুটসহ ডায়াবেটিক রোগীদের সব পণ্যের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেড়েছে।’</p> <p>বিস্কুট প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএবিএমএ) সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডায়াবেটিক রোগীরা সুগার ফ্রি বিস্কুট ও ভেজিটেবলের লেক্সাস বিস্কুটগুলো মূলত বেশি খেয়ে থাকে। তবে সব ডায়াবেটিক রোগী সুগার ফ্রি বিস্কুট খেতে চায় না। ভেজিটেবল বিস্কুটগুলো বেশি খেতে চায় তারা। তাই এখন সব কম্পানিই সুগার ফ্রি বিস্কুটের পাশাপাশি ভেজিটেবলের লেক্সাস বিস্কুটে জোর দিয়েছে। এখন বাজারে ভেজিটেবল বিস্কুটের চাহিদা প্রচুর। একটা সময় মিষ্টিজাতীয় বিস্কুট মানুষ বেশি খেতে পছন্দ করত, কিন্তু এখন মানুষ মিষ্টিজাতীয় বিস্কুট এড়িয়ে চলে। তাই এখন সব ধরনের বিস্কুট তৈরিতে নামমাত্র সুগার ব্যবহার করা হয়।’</p> <p>এক জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সংখ্যা ২৬ লাখ। আর ৩৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৪ লাখ। পৃথিবীতে বর্তমানে সবচেয়ে উচ্চ হারে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনে। দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যারা শুধু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছে।</p> <p>বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগ একবার হলে পুরোপুরি ভালো হয় না, তখন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রম, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, চেকআপের মাধ্যমে ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর মধ্যে খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিক রোগী চাইলেই ইচ্ছামতো মিষ্টি খেতে পারেন না। ইচ্ছা থাকলেও পছন্দের খাবার খাওয়া হয়ে ওঠে না। যে কারণে  অনেকেই প্রবলভাবে অনুভব করে অ্যান্টিডায়াবেটিক খাবার।</p>