<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর বাগেরহাটের শরণখোলায় নিরাপদ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার ৯০ শতাংশ পানির উৎস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের পাতা পচে পুকুর, ডোবা, নালাসহ জলাশয়ের পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এসব পুকুর বা জলাশয়ের পানি কোনো কাজেই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের হিসাব মতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিভাগের  তালিকাভুক্ত পন্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) বা পানির ফিল্টার বসানো ৩০০ পুকুর, ৪২৭টি পিএসএফ ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টার (আরডাব্লিউএইচ) ও ৭৫০টি শৌচাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের হিসাব তাদের কাছে নেই।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট পরিবারের সংখ্যা ২৪ হাজার। এসব পরিবারের মধ্যে উপজেলা সদরে বসবাসকারী পরিবারগুলোতে পুকুর তেমন নেই। তবে গ্রামাঞ্চলে ছোট-বড় পুকুর ও জলাশয় রয়েছে সবার বাড়িতেই। স্থানীয় হিসাবে রিমালে এর সবই কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের খুঁড়িয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা ডালিম হাওলাদার, উত্তর সাউথখালী গ্রামের বাহাদুর হাওলাদার ও সোনাতলা গ্রামের খলিলুর রহমান জানান, গাছের পাতা পচে গ্রামের সবার বাড়ির পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে গেছে। পানি কালো রং ধারণ করায় তা কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না। পচা পানিতে মশা বেড়েছে। মশার কামড়ে দিনের বেলায়ও কোথাও বসার উপায় নেই। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">শরণখোলা গ্রামের আবুল কাসেম জানান, পচা পানি দিয়ে গোসল করানোয় তাঁর শিশু সন্তানের সারা শরীর চুলকানিতে ভরে গেছে। এভাবে তাঁদের গ্রামের বহু শিশু ও বয়স্ক লোকের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পানিসংকট নিরসনে কাজ করছেন খুঁড়িখালী গ্রামের রাসেল আহমেদ। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে গাছ পড়ে বেশির ভাগ পানির উৎস নষ্ট হয়েছে। খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পানি পচে এমন অবস্থা হয়েছে, যা দিয়ে গৃহস্থালির কাজও করতে পারছে না মানুষ। পিএসএফের পানিতেও পচা গন্ধ। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পুকুর-জলাশয়গুলো দ্রুত সংস্কার না করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">খালের পানিপ্রবাহ সচল রাখতে বেড়িবাঁধের স্লুইস গেটগুলো যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। এ ছাড়া গেট আটকে যারা মাছ ধরে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">চলমান পানি সমস্যার সমাধানে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম মেহেদী হাসান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">পিএসএফ রয়েছে এমন ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের তালিকা করা হয়েছে। সেগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পিএসএফ মেরামত করা হবে। যাদের পানির ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের নতুন ট্যাংক স্থাপন করে দেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">রোগব্যাধি ছড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের সপ্তাহখানেক পর থেকেই হাসপাতালে পানিবাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, চুলকানি নিয়ে প্রতিদিন বহু রোগী আসছে। শিশু-বয়স্ক সবাই এসব রোগে আক্রান্ত। এগুলো স্বল্পমেয়াদি রোগ। এ ছাড়া দীর্ঘদিন দূষিত পানি খাওয়া বা ব্যবহারের ফলে জন্ডিসসহ কিডনি ও লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>