<p>সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচের আওতায় পানাসি (পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ) প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রের লাইসেন্স দিতে এক কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p>জানা গেছে, গতকাল সোমবার উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের গুড়মা গ্রামের কৃষক আবু হানিফ উপসহকারী প্রকৌশলী ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মেজবাউল করিমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।</p> <p>অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আবু হানিফ তাঁর জমিতে একটি বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রের সংযোগ পাওয়ার জন্য গত ৬ জানুয়ারি তাড়াশ উপজেলা সেচ কমিটির কাছে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবু হানিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাড়াশে বিএডিসির পানাসি প্রকল্পে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী ইমাম হোসেন সরেজমিনে গুড়মা গ্রামের মাঠে ক্ষুদ্র সেচ পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি সংযোগ দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে ওই কৃষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপর কৃষক আবু হানিফ প্রথম দফায় উপসহকারী প্রকৌশলীর বিকাশ অ্যাকাউন্টে ছয় হাজার ১২৫ টাকা দেন। পরে আবারও তাঁর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের বাজারে এলে সেখানে তিনজন সাক্ষীর সম্মুখে আরো ৩০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দেন। পরে তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস কৃষক আবু হানিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রের জন্য ডিমান্ড চার্জ জমা দেওয়ার জন্য চিঠি দেন। চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক কৃষক আবু হানিফ ডিমান্ড চার্জও জমা দেন। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওই কৃষককে বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র দিতে নিয়মানুযায়ী লাইনও নির্মাণ করে দেন।</p> <p>এ সময় উপসহকারী প্রকৌশলী (পানাসি) ইমাম হোসেন আবারও কৃষক আবু হানিফকে ডেকে তাঁর কাছে আরো ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। অন্যথায় সেচযন্ত্রের সংযোগ না দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওই কৃষক আর টাকা দিতে না পারায় উপসহকারী প্রকৌশলী সংযোগ বন্ধ রাখতে পল্লী বিদ্যুৎ বরাবর একটি চিঠি দেন।</p> <p>এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উপসহকারী প্রকৌশলী ইমাম হোসেন বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র।’ তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাউল করিম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>