<p>ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠ দখল করে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালনের খামার পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খামারটির দুর্গন্ধে ছয় মাস ধরে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘ্নিত হচ্ছে। একই সঙ্গে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক, এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি করা হলেও তা শুনছেন না খামারের মালিক বিএনপি নেতা আবদুল জলিল মিঞাজি।</p> <p>জানা যায়, ১৯৪৩ সালে চিংড়াখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবদুল জলিল মিঞাজি ছয় মাস আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের জমি অবৈধভাবে দখল করে গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার করেন। এতে লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা। দুর্গন্ধে কিছু শিশুশিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। খামারের দুর্গন্ধে এলাকাবাসী ও পথচারীরাও অতিষ্ঠ। বিদ্যালয়সংলগ্ন চিংড়াখালী সিনিয়র মাদরাসা, এতিমখানা, হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিক্ষার্থীরাও থাকতে চাইছে না সেখানে। এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। এতেও কোনো প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।</p> <p>শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বার্থে খামারটি অন্যত্র সরিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষকরা। খামার মালিক আব্দুল জলিল মিঞাজি ঢাকায় থাকায় বর্তমানে এটি পরিচালনা করছেন স্থানীয় আবদুল খালেক ও মিনারা বেগম।</p> <p>বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক হাওলাদার বলেন, ‘খামারের দুর্গন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে থাকতে পারে না। জলিল মিঞাজিকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও তিনি কারো কথা শুনছেন না।’ আবদুল জলিল মিঞাজি বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয়ের জমি দান করেছি। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরে আমি নিলামে এটি কিনেছি। এখানে খামার করেছি, তাতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’</p>