<p>ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করায় সড়কের স্থায়িত্বকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। সড়কের পিচঢালা উঠে যাচ্ছে। এর মধ্যে দুটি সেতু ফাটল ধরে হুমকির মুখে পড়েছে।</p> <p>১৯৫৪ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ সরকার গঠন করার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় ভারী যানবাহন ছিল না বললেই চলে। কিন্তু কালের বিবর্তনে এটি ব্যস্ততম মহাসড়কে পরিণত হয়। একসময় এ সড়ককে বলা হতো এশিয়ান হাইওয়ে। যাতায়াত ব্যবস্থা ও পণ্য পরিবহনে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা। এ মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন বেনাপোল ও  মোংলা বন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস, ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, ড্রাম ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কের স্থায়িত্বকাল দীর্ঘস্থায়ী রাখতে ধামরাইয়ের বাথুলীতে স্থাপন করা হয় এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এটি পরিচালনা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেগনাম রিসোর্স লিমিটেড। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পণ্যসহ মোটরযানের ওজন বেশি হলে পণ্যবাহী যানবাহনের চালক বা মালিককে জরিমানা করা হয়। ওজন স্কেলের শুরুতে ১৫-১৮ টন ওজনের যানবাহনগুলো চলাচলের অনুমতি ছিল। পরবর্তী সময়ে তা পরিবর্তন করে ছয় চাকাবিশিষ্ট যানবাহনের ক্ষেত্রে ২২ টন, ১০ চাকার ক্ষেত্রে ৩০ টন, ১৪ চাকার ক্ষেত্রে ৪০ টন পর্যন্ত ওজন বহনের অনুমতি দেয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এর পর থেকেই মহাসড়কের শ্রীরামপুর গ্রাফিকস টেক্সটাইলসংলগ্ন সেতু ও বারবাড়িয়া গাজীখালী নদীর ওপর সেতু দুটিতে ফাটল ধরেছে। ফলে সরকারের কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে যে উদ্দেশ্য নিয়ে মহাসড়কে ওজন স্কেল বসানো হয়েছে তা কোনো কাজেই আসছে না। ফলে মহাসড়কের পিচঢালা উঠে যাচ্ছে।</p> <p>সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফাটল ধরা দুটি সেতুর নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেকা দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মহাসড়কের পিচঢালাইয়ের অংশটুকুর মধ্যস্থল বাদ দিয়ে দুই পাশ ধীরে ধীরে নিচু হয়ে যাচ্ছে।</p> <p>এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত ওজনের পণ্য বহনে যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা না হলে সড়কের স্থায়িত্বকাল দীর্ঘস্থায়ী হবে না।’</p>