২০০৯ সালে কানাডায় পা দিয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকলেন গুলশান—অড জব না করে কিভাবে নিজের পেশায় জায়গা করে নেওয়া যায়। টরন্টো ইস্ট জেনারেল হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আউটডোর সেকশনে একজন ভলান্টিয়ার নেওয়া হচ্ছে। সেখানে আবেদন করলেন। দেখলেন আউটডোর সেকশনের স্বেচ্ছাসেবক পদেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৭০ জন চিকিৎসক আবেদন করেছেন।
ভিনদেশে বাংলাদেশি
গুলশান আছেন কানাডায়
- গুলশান আক্তার একজন চিকিৎসক। কানাডার ক্যালগেরিতে থাকেন। রাজনীতিও করেন। সামনের নির্বাচনে তিনি আলবার্টা প্রদেশের ক্ষমতাসীন দল থেকে এমএলএ হতে লড়বেন। তাঁর খবর পেয়েছেন নাদিম মজিদ
অন্যান্য

বুকের ভেতর বাংলাদেশ
কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের তিনি সক্রিয় সদস্য। যেমন—বাংলাদেশ মেডিক্যাল সোসাইটি অব আলবার্টার তিনি মহাসচিব আবার ক্যালগেরি বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ। দেশের কোনো দুর্যোগে তিনি সবাইকে নিয়ে তহবিল সংগ্রহে বের হন। প্রয়োজনে দেশে এসে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এনডিপির এমএলএ প্রার্থী
কানাডায় এখন ক্ষমতাসীন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)। গুলশান এ দলেরই সদস্য। আসছে জাতীয় নির্বাচনে এমএলএ প্রার্থী হিসেবে ডা. গুলশান আক্তারকে মনোনয়ন দিয়েছে এনডিপি। তাই এখন জোরেশোরে কানাডার স্থানীয় কিংবা অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সভা-সমিতি আয়োজন করছেন।
পিয়ারলেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
২০০৯ সাল থেকে কানাডায় আছেন গুলশান। প্রায়ই খেয়াল করেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে কানাডায় আসা অভিবাসীদের স্বপ্নভঙ্গ হতে বেশি সময় লাগে না। সঠিক দিকনির্দেশনা না পেয়ে শেষে অড জব বেছে নেন। অথচ অনেকেরই আছে ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা। অভিবাসীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাঁদের কানাডার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তিনি ২০১৬ সালে চালু করেন পিয়ারলেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এখন তো দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে কানাডার স্থানীয়রাও ভর্তি হয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বড় হয়েছেন গুলশান আক্তার। বীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বীরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এমবিবিএস করেছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে।
সম্পর্কিত খবর