কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর নিপীড়নের ভিডিও ছড়ানোর মূল কারিগর শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। একই ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বুড়িচং উপজেলা থেকে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব ১১-এর সিপিসি ২-এর উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের পর নিপীড়ন ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মূল কারিগর শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
’
এদিকে গতকাল ওই চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার আমলি আদালত ১১-এর বিচারক মমিনুল হক। আসামিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ। মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুরাদনগরের ঘটনায় করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
বিচারক মমিনুল হক প্রত্যেক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
রিমান্ডপ্রাপ্ত সুমন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। পুলিশ জানায়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হন।
পরে ফজর আলীকে তাঁর স্বজনরা সেখান থেকে নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ২৭ জুন ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফজর আলীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ।