রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ১৭ বছরের সন্তান ও স্ত্রীসহ সৌদিপ্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবারের এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মনির হোসেন (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৬) এবং তাঁদের একমাত্র সন্তান নাঈম হোসেন।
প্রতিবন্ধী ছেলে নাঈমের চিকিৎসার জন্য স্ত্রী স্বপ্নাকে সঙ্গে নিয়ে মনির হোসেন ঢাকায় আদ্-দ্বীন হাসপাতালে যান।
শনিবার সিরিয়াল না পেয়ে ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি। পরে রাতে মগবাজারের একটি হোটেলে রাত যাপন করেন।
রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, গতকাল সকালে তাঁদের এক আত্মীয় হোটেলে গেলে স্বপ্না ও তাঁর ছেলেকে বমি করতে দেখেন। পরে তাঁদের পাশের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এরই মধ্যে মনির হোসেনও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়া বা বিষ প্রয়োগের আশঙ্কা থেকে তদন্ত চলছে।
হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা গুরুত্বসহ তদন্ত করছি। হোটেল কক্ষসহ পুরো হোটেল এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। দেখা হচ্ছে, তাঁদের কক্ষে কেউ প্রবেশ করেছিল কি না।’
প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত ছাড়া নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
আমরা দুটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করছি—খাদ্যে বিষক্রিয়া অথবা পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগ। তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’