জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরাসহ (ধরা) পরিবেশবাদী ১৭টি সংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলী পার্ক মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় কয়লা ও এলএনজিতে জাপানের বিনিয়োগ বন্ধের আহবান জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম বদরুল আলম, ধরার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল করিম কিম, সুন্দরবন সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ইকুইটিবিডির নেটওয়ার্ক কো-অর্ডিনেটর মোস্তফা কামাল আকন্দ, গ্লোবাল ল থিংকারস সোসাইটির (জিএলটিএস) চেয়ারপারসন রাওমান স্মিতা, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, ব্রাইটারসের সাইদুর রহমান সিয়াম, সিপিআরডির নূর আতায়া রাব্বি, খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ব্লেস্মি বাড়ৈ, চলনবিল রক্ষায় আমরার মেহনাজ মালা, ইউক্যানের যুধিষ্ঠির চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।
সমাবেশে মূল বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, ‘জুন মাসে জাপানের কর্মপরিকল্পনা করা হয়। আমরা জানতে পেরেছি, আবারও বাংলাদেশে অনেক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস বিস্তারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা তা চাই না।
আমরা চাই, জাপান নবায়নযোগ্য জালানি প্রকল্প স্থাপনের দিকে ধাবিত হোক। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক।’
বদরুল আলম বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ওই বিনিয়োগের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গে খরা ও মরুকরণ হচ্ছে, ঋতুচক্রে পরিবর্তন হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আশা করি, জাপান এই বিনিয়োগ থেকে বের হয়ে আসবে।’
নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে অসংখ্য মানুষ জীবিকা হারাচ্ছে, তারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
আমাদের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’
মেহনাজ মালা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলনবিলের অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। কৃষকরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। খরা মৌসুমে মাটির পাঁচ ফুট নিচে পানি তোলার জন্য মেশিন স্থাপন করতে হচ্ছে, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির আগেই পানিতে ফসলের ক্ষেত ভরে যাচ্ছে।