ময়মনসিংহের ভালুকায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার পথচারী, বিভিন্ন ধরনের গাড়িচালক, নিম্ন আয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাবনায় বৃদ্ধ করিম প্রামাণিকের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : আবারও শুরু হওয়া করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল সকালে ভালুকা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পালিত হয় ওই মাস্ক বিতরণ কমসূচি। পথচারী, বাস, ট্রাক, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক, নিম্ন আয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে এই মাস্ক বিতরণ করা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভালুকা শাখার উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মতিউর রহমান খান মহন ও উপদেষ্টা অধ্যাপক হাদিসুর রহমান খান প্রধান বিশেষ অতিথি হিসেবে ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা মোখলেছুর রহমান মনির, মো. আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ ভালুকার সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম সুবিন, সহসভাপতি ইব্রাহীম খলিল, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম অনীক, সাধারণ সম্পাদক আফজাল ফাহিম এজাজ খান, দপ্তর সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া, অর্থবিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার শান্ত, শিক্ষা ও পাঠ্যক্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিল পাঠান, সদস্য রফিক, পাপ্পু, উদয়, জবা, মুন, প্রসঞ্জিত, সিফাত পাঠান, প্রান্ত, বিজনসহ অন্যরা ওই কমসূচিতে অংশ নেন।
মতিউর রহমান খান মহন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এখানে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই।
’ তিনি আরো বলেন, ‘করোনা সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করার জন্যই আমাদের এই মাস্ক বিতরণ করা।’
সুজানগর (পাবনা) : চরভবানীপুর বাগানপাড়ায় বৃদ্ধ করিম প্রামাণিকের (৯৮) ছোট্ট দোকানে গতকাল শুভেচ্ছাস্বরূপ দেওয়া হয় মালপত্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সম্পাদক বাংলাদেশ স্কাউট পাবনা জেলা
রোভার আলী আকবর রাজু, কালের কণ্ঠ পাবনা জেলা প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, বসুন্ধরা শুভসংঘের পাবনা জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক ও পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইনস্ট্রাক্টর মীর মো. আবু জাফর, কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি রাজিব জোয়ার্দার, মো. হুমায়ুন কবির, সিনহা, সোহান হোসেন, শুভসংঘের উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা ভবানীপুর বাগানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
করিম প্রামাণিকের বয়স এখন ৯৮।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে, তবু পেটের জ্বালায় রাস্তার পাশে সামান্য কিছু মালপত্র নিয়ে বসে থাকেন ক্রেতার আশায়, সারা দিন যা বিক্রি হয় তা-ই দিয়ে চলে সংসার। করিম প্রামাণিকের দুই ছেলে চার মেয়ে। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। এক মেয়ে মারা গেছে। বড় ছেলে হাসান ভ্যান চালায়। ছোট ছেলে আব্দুলাহকে আড়াই লাখ টাকা ধার করে সৌদি আরব যাওয়ার ব্যবস্থা করেন, কিন্তু দালালের খপ্পরে পড়ে সেখান আয়-রোজগার করতে পারছে না। তাই বাবাকে কোনো সহায়তা করতে পারছে না। বাবা ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে ঋণ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।
করিম প্রামাণিক সংসার চালাতে প্রায় ১২ বছর এভাবেই ভ্রাম্যমাণ দোকান করে কোনো রকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন।
করিম প্রামাণিক বলেন, ‘কেউ যদি একটা দোকান করে দিত ভালোভাবে চলতে পারতাম, আর বসুন্ধরা শুভসংঘ আজ আমার দোকানে মালপত্র দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব।’
বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলী আকবর রাজু বলেন, ‘আমরা করিম প্রামাণিককে দোকান করে দেব, যাতে তিনি ভালোভাবে চলতে পারেন।’