বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মায়ানমার সীমান্তের ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের বিপরীতে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাকঢালা সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় মায়ানমারের সরকারি বাহিনীর দৃশ্যমান উপস্থিতি না থাকলেও অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে গোলাগুলির ভয়াবহ শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসরত একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মায়ানমারে বর্তমানে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ একজোট হয়েছে। এই গ্রুপগুলোকে মায়ানমারের জান্তা বাহিনী নানাভাবে সহযোগিতা করছে বলেও দাবি করছে অনেকে। ফলে সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
সীমান্তের ঘুমধুম, দোছড়ি ও চাকঢালার আশপাশের জনপদের মানুষ এই অস্থিরতার মাঝে দিন যাপন করছে।
গোলাগুলির শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেশি লক্ষ করা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীন চাকঢালা সীমান্ত পিলার এলাকায় ওপারে মায়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। শনিবার সকাল ১১টার দিকে একটি গুলির খোসা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে। এতে ওই এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
’
ইউএনও জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয়দের প্রতি ধৈর্য ও সচেতনতা বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।