ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

কানাডায় হ্রদে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও শিল্পোদ্যোক্তার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কানাডায় হ্রদে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও শিল্পোদ্যোক্তার মৃত্যু

কানাডায় হালকা নৌযান ক্যানু ডুবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট সাইফুজ্জামান ও তাঁর বন্ধু টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব মারা গেছেন। কানাডার স্থানীয় সময় রবিবার বিকেল ৩টা ৬ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিমান বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, সাইফুজ্জামানের সঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব মারা গেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বোয়িং ৭৮৭-এর ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামানের মরদেহ বাংলাদেশে আনার জন্য বিমানের টরন্টো অফিস কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে।

সাইফুজ্জামান শনিবার সপরিবারে কানাডায় পৌঁছান বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর।

টরন্টো থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা দেশে বিদেশের সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিন্টু জানিয়েছেন, অবকাশ যাপন ও বড় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে টরন্টো যান সাইফুজ্জামান। তাঁর বড় মেয়ে টরন্টোর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। রবিবার তাঁরা টরন্টো থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরের লিনজি শহরে গিয়ে একটি কটেজে ওঠেন।

দুপুরের দিকে সাইফুজ্জামান, রাকিব ও তাঁর ছেলে মাহির একটি ক্যানু নিয়ে হ্রদে নামেন। ক্যানুটি যখন স্টারজেন হ্রদের বুকে এগিয়ে চলছিল, তখন তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সাইফুজ্জামানের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ করে ক্যানু উল্টে যায়। মাহির সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন, কিন্তু সাইফুজ্জামান ও রাকিব আর ফিরে আসেননি।
পরে উদ্ধারকারীরা দুজনকেই উদ্ধার করেন, ততক্ষণে তাঁরা আর জীবিত ছিলেন না।

পুলিশের বরাতে কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিভিনিউজ লিখেছে, রবিবার বিকেলে কাওয়ার্থা লেক অঞ্চলের একটি হ্রদে ক্যানু উল্টে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। বিকেল ৩টার কিছু পরে স্টারজিওন লেকে নৌদুর্ঘটনার খবর পেয়ে জরুরি সেবাদানকারীরা সেখানে ছুটে যান। ক্যানুটিতে তিনজন পুরুষ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

কিন্তু বাকি দুজন পানিতে ভেসে থাকতে না পেরে প্রাণ হারান।

রাকিবের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছবে শুক্রবার, দাফন শনিবার : টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিবের জানাজা ও দাফনসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতার সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (১১ জুন) কানাডার টরন্টো শহরের ড্যানফোর্থ এলাকার সুন্নাতে জামাত মসজিদে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মরদেহ ঢাকার উদ্দেশে কানাডা থেকে রওনা হবে এবং শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। পরে মরদেহ সরাসরি নেওয়া হবে বনানী বা পুরনো ডিওএইচএস এলাকার বাসভবনে।

জানা গেছে, ১৪ জুন (শনিবার) সকালে বিজিএমইএ ভবনে রাকিবের আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী বা পুরনো ডিওএইচএস মসজিদে আরো একটি জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ