প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এই অর্থ ব্যয় করবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচারিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছে, তাই আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা ও আদেশ সংশোধন ও সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায়, ইসির জন্য দুই হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালনা ব্যয় দুই হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন বাজেট ২২৯ কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করবে ইসি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইসির জন্য বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ইসির বরাদ্দের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং এসংক্রান্ত ডেটাবেইস ও ডেটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ; জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন ও উপনির্বাচন পরিচালনা; জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ এবং সেবা দেওয়া। আরো রয়েছে, নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তিকরণ; নির্বাচন ও ইসি সম্পর্কিত আইনের প্রস্তাবনা প্রস্তুতকরণ এবং বিধিমালা, প্রবিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক সংরক্ষণ।