সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের বক্তব্যকে তাঁর ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর কোন বক্তব্যটি ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা উল্লেখ করেনি।
তবে সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর একটি পোস্ট নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
আ ল ম ফজলুর রহমান গত ২৯ এপ্রিল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’
এরপর তিনি এ নিয়ে একাধিক ফেসবুক পোস্টে আরো ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন।
এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। এই মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন নয়। তাই সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের মন্তব্য অনুমোদন কিংবা সমর্থন করে না।
’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ‘সরকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মন্তব্যকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান এবং সব দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’