ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭
ঢাবি ক্যাম্পাসের শিশুশ্রমিক

জীবিকার চাপে হয় না পড়াশোনা

  • আবাসিক হলগুলোতে ৫০ জনের মতো শিশু রয়েছে
  • হলের ক্যান্টিন, মেস, দোকানে বিভিন্ন কাজ করছে
  • শিশু বলে মজুরিও কম, মাসে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা
মানজুর হোছাঈন মাহি
মানজুর হোছাঈন মাহি
শেয়ার
জীবিকার চাপে হয় না পড়াশোনা

নরম রোদের মিঠে সকালে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়া হয় না তাদের। ক্লাসে নতুন নতুন পাঠ, টিফিন পিরিয়ড বা ছুটির সময় স্কুলের মাঠে ছোটাছুটি করে খেলাএসব আনন্দ থেকে তারা দূরে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের দিন কাটে একঘেয়ে কাজে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ক্যান্টিন, মুদি ও চায়ের দোকানগুলোতে শ্রম দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে এমন ৫০ জনের মতো শিশু রয়েছে, যারা হলের ক্যান্টিন, মেস, দোকানে বিভিন্ন কাজ করছে।

শিশু বলে তাদের বেতন বা মজুরিও কম। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলভেদে একজন শিশুশ্রমিক মাসে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পায়। অন্যদিকে একজন পূর্ণবয়স্ক শ্রমিক পান ১০ হাজার টাকার বেশি। বেশির ভাগ শিশু কাজ করছে হলের ক্যান্টিনগুলোতে।

সকাল ৭টা থেকে তাদের কাজ শুরু। এ সময় ক্যান্টিনে নাশতা দেওয়া হয়। তারা ছুটে ছুটে টেবিলে গিয়ে নাশতা দেয়, ধোয়ামোছার কাজ করে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিরতি দিয়ে রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের কায়িকশ্রম।
 

এমন একজন সূর্যসেন হলের ১৪ বছর বয়সী ক্যান্টিনবয় ইকবাল। ৯ মাস আগে সে ঢাকা শহরে আসে জীবিকার সন্ধানে। গ্রামে বাবার অনটনের সংসার। এর পরও ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়েছে ইকবাল। তারপর আর হয়নি।

ইকবাল জানাল, সুযোগ পেলে আবার পড়াশোনা করবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাবে পাঁচ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু ধরা হয়। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুরা সপ্তাহে এক ঘণ্টা, ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশু সপ্তাহে ২৫ ঘণ্টা এবং ১৪ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করালে তাকে শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশ শ্রম আইন (২০০৬) অনুযায়ী, শিশু ও কিশোরদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে অনূর্ধ্ব ১৪ বছর এবং ১৪-১৮ বছর। এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসকের প্রত্যয়ন ছাড়া ১৪ বছরের কম বয়সী কোনো শিশু বা কিশোরকে কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ১৪-১৮ বছর বয়সীদের খনিতে পাঁচ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা ও কোনো প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সাত ঘণ্টা, সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যে শিশুরা কাজ করছে, তাদের ক্ষেত্রে এসব কর্মঘণ্টার নীতিমালা মানা হচ্ছে না। এখানে শিশুরা দৈনিক প্রায় ১০ ঘণ্টা করে কাজ করছে। তাদের পড়াশোনারও সুযোগ নেই। এ জন্য শিশু বয়সেই সমাজের মূলধারা থেকে পিছিয়ে পড়ছে এই শিশুরা।

গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি আবাসিক হলে ঘুরে দেখা যায়, ক্যান্টিনে শিশুরা মূলত টেবিল মোছা, টেবিল পরিষ্কার করা, শিক্ষার্থীদের খাবার এনে দেওয়া ইত্যাদি কাজ করছে। দোকানগুলোতেও শিশুদের কাজ করতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনে কথা হয় সালাহউদ্দিন ও রায়িম নামের দুই শিশু শ্রমিকের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, তারা দুজন আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত, কিন্তু পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। যদি সুযোগ পায়, তারাও পড়াশোনা করবে।

এ সময় হলের ক্যান্টিন পরিচালক ইউসুফ আলী বলেন, যদি তারা পড়াশোনা করতে চায়, তাহলে তারা অবসর সময়ে পড়তে পারবে। তিনি তাদের বাধা দেবেন না।

তবে শিশুদের আগ্রহ থাকলেও অবসর সময় না পাওয়া, অভিভাবকদের অনীহা ও ক্যান্টিন মালিকদের অনিচ্ছার কারণে এসব শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনা যাচ্ছে না।

২০১৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিশু শ্রমিক ও ভাসমান শিশুদের নিয়ে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিমুল হক। তিনি ঘাসফুল স্কুল-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে আছেন সাত বছর ধরে।

আজিমুল হক বলেন, এখানে যে শিশুরা আসে, তারা মূলত রোজগার করে। তাই আগ্রহ থাকলেও তাদের পড়াশোনায় আনা যায় না। তাদের বাবা-মায়েরা চায় শিশুরা কাজ করুক।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ এক হাজাতির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম এস এম আব্দুল হক (৭০)। গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, ওই কয়েদির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আব্দুল হককে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. রোকন বলেন, নিহত আব্দুল হক খুলনার কবি ফররুখ একাডেমি মোড়ের ইমান আলী শেখের ছেলে। খুলনা কারাগারে অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

মিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৪

রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতির চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন সাবেক সেনা সদস্যও রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার বিকেল সোয়া ৩টায় মিরপুর ডিওএইচএসের ৮০৭ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় ঢোকেন পাঁচ ব্যক্তি। এই দলের সদস্যদের টার্গেট ছিল ভাড়াটিয়া বোরহানের বাসাটি।

ওই ব্যক্তিকে না পেয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মূল্যবান সামগ্রী ব্যাগে ভরতে থাকেন তাঁরা। এই ব্যক্তিদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি অনুসরণ করার পর এক ব্যক্তি ডাকাত যাচ্ছে বলে আশপাশের লোকজনকে সতর্ক করেন। পরে গাড়িটি এনডিসি চেকপোস্টের কাছে পৌঁছলে সামনের আরেকটি গাড়ির কারণে তা আটকে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় পাঁচজনকেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
পল্লবী থানার পুলিশের দাবি, তারা চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে করপোরাল (অব.) মুকুল জানান, মিরপুর-১০-এর এক চায়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে হারুনুর রশিদের পরিচয় হয়। হারুন জানান, এক ব্যক্তির কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

তবে পুলিশ বলছে, এটি কোনো অভিযান ছিল না, বরং পরিকল্পিত ডাকাতি ছিল। আটক লেফটেন্যান্ট ফিরোজ ইফতেখার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন জাস্টিস ফর কমরেডস নামের একটি সংগঠনের সদস্য। অন্যদিকে করপোরাল মুকুল সহযোদ্ধা নামের একটি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত, যা সেনাবাহিনী থেকে বিতাড়িত বা অসন্তুষ্টদের নিয়ে গঠিত। পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ডিওএইচএস থেকে চারজনকে আটক করে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

ভোলাগঞ্জে পাথরের লোভে লাশ হলেন আরেক শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
ভোলাগঞ্জে পাথরের লোভে লাশ হলেন আরেক শ্রমিক

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটনকেন্দ্র সংলগ্ন রেলওয়ের রোপওয়ের (রজ্জুপথ) সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের বাংকার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে।

 এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি একইভাবে অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণ দেন আরেক শ্রমিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার রাতেও রেলওয়ের রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করতে যান হাবিবুর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরো দুজন শ্রমিক।

হাবিবুর গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করছিলেন। বাকি দুজন মাথায় পাথর বহন করে নৌকায় নিয়ে রাখছিলেন।

কাজের এক পর্যায়ে হঠাৎ ওপর থেকে বালু ধসে পড়ে। এতে হাবিবুর বালুচাপা পড়েন। এ সময় তাঁর সঙ্গী দুজনের চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় হাবিবুরের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে নিহতের স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে লাশ বাড়ি নিয়ে যান।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি সকালে একই এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে বালুধসে লিটন মিয়া নামের এক শ্রমিক প্রাণ হারান। এ নিয়ে চলতি বছর রেলওয়ের রোপওয়ে বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা ও বাংকার এলাকার পাথর লুটপাটের পর সাদা পাথর এলাকায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে একটি চক্র পাথর লুট শুরু করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রজ্জুপথটি (রোপওয়ে) বাংকার এলাকায় অবস্থিত। রোপওয়ে এলাকাই সংরক্ষিত বাংকার হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতকে পাথর পরিবহনের জন্য স্থল বা জলযানের বিকল্প হিসেবে ১১৯টি খুঁটির মাধ্যমে তৈরি হয় এই রোপলাইন। এ এলাকায় টিলার মতো সামান্য উঁচু ভূমি ও সমতল মাটির নিচে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাথর। জানা গেছে, রাতের বেলায় প্রশাসনের  কোনো নজরদারি থাকে না। তখন পাথর লুট করে বিভিন্ন চক্রের সদস্যরা।

 

মন্তব্য
ডাকসু নির্বাচন

অংশ নিতে পারবেন না তিন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
অংশ নিতে পারবেন না তিন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভায় উপস্থিত একজন সদস্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনায় জড়িতদের ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।

সেই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ১২৮ জনকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ১২৬ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, যাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না। পাশাপাশি শাহবাগ থানায় মামলাও করা হয়েছিল এ ঘটনা নিয়ে।
সেই মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাঁরা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যে ১২৬ জনকে সামরিক বহিষ্কার করেছে, তাঁরা ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শাহবাগ থানায় যে মামলা হয়েছে তার মধ্যে এই ১২৬ জনের কেউ কেউ থাকতে পারেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ