অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ ছয় কর্মকর্তা। তাঁদের সেই আপিল মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই রায় দেন।
রায়ের পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ড. ইউনূস ও অন্য ছয়জনের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টের সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের সেই আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের আদেশটি বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আর এই মামলা থাকছে না।’
ড. ইউনূস ছাড়াও অন্য ছয়জন হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম (বর্তমানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে এই মামলা করেছিল দুদক। গত বছর ১২ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। অভিযোগ গঠনের এ আদেশ বাতিল চেয়ে ৮ জুলাই হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ সাতজন। শুনানির পর ২৪ জুলাই আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
কোনো রকম বিলম্ব ছাড়া মামলাটির বিচারকাজ এক বছরের মধ্যে শেষ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করে দুদক। ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।