পবিত্র রমজানে প্রথম অফিস ছিল গতকাল রবিবার। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ছিল রোজার আমেজ। অন্য বছরের মতো এবারও রমজান মাসে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। প্রথম রোজায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে জোহরের নামাজ শেষেই ঝটপট হাতের কাজ গোছাতে শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে।
৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে বেশির ভাগ দপ্তরই খালি দেখা গেছে। গতকাল সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথম রোজায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করার ইচ্ছা আছে। এ কারণে সকাল থেকেই দাপ্তরিক কাজগুলো দ্রুত করার চেষ্টা করছি।
ঊর্ধ্বতন স্যারকেও মনের ইচ্ছা জানিয়েছি। স্যার দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলেছেন। আশা করি, ৩টার মধ্যেই বাসার উদ্দেশে বের হতে পারব।’
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র, ধর্ম, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সচিবালয়ের বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোজার আনুষঙ্গিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
কেউ হাতের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন, কেউ বা ডেস্ক অফিসারের কাছে অনুরোধ করে অফিস সময়ের আগেই বাসায় যাওয়ার অনুমতি নিচ্ছেন।
সবার প্রায় অভিন্ন ইচ্ছা, প্রথম রোজার ইফতারটা পরিবারের সঙ্গেই করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, তাঁর বাসা কাঁচপুর ব্রিজের কাছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করতে জোহরের নামাজের পরই অফিস থেকে বের হয়ে যাবেন। তাঁর ডেস্ক অফিসার অফিশিয়াল কাজে ঢাকার বাইরে রয়েছেন।
তাই অফিসে কাজের চাপ নেই।
এর আগে পবিত্র রমজান মাসে সাহরি ও ইফতারের সময় বিবেচনায় সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রমজান ছাড়া সরকারি অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রমজানে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে যথারীতি শুক্র ও শনিবার।