ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ এবং যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। গতকাল বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ ছাড়া বাকি চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন চিকিৎসক জানান, নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে কর্মরত স্বাচিপপন্থী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মণ্ডলকে প্রায় চার মাসে আগে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়।
সম্প্রতি তাঁকে আবার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিচালক কাজী দীন মোহাম্মদের কক্ষে গেলে হট্টগোল বাধে। এর কিছুক্ষণ পর বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসকরা বৈঠকে বসলে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আউটসোর্সিংয়ের কিছু কর্মচারী তাঁদের ওপর হামলা করেন। তবে এমন ঘটনা অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ।
একই সঙ্গে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মণ্ডলকে নিন্সে ফিরিয়ে আনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমার কক্ষে এসেছিলেন। পরে তাঁরা চলে গিয়ে ৪০২ নম্বর কক্ষে মিটিং করছিলেন। এ সময় কিছু স্টাফ চতুর্থ তলায় চিকিৎসকদের সভাস্থলে চলে যান।
সেখানে আরো কিছু স্টাফ ছিলেন। ওই স্টাফদের সঙ্গে এই স্টাফদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ডাক্তাররা আহত হননি। আমি ভিডিও ফুটেজ পরে দেখলাম। ডাক্তারদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ, মারামারি কিছুই হয়নি।’