দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকার যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কর্মসংস্থান হচ্ছে এই জনশক্তির। গতকাল রবিবার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োাজন করা হয়। এতে দুই মাসব্যাপী আয়োজিত প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিংস (লেভেল-২) এ দক্ষতা অর্জন করা ৪০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, শিক্ষা সামগ্রীসহ প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ করেন প্রশিক্ষকেরা।
বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার
৬০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে অর্থ ও সনদ পেলেন ৪০ জন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. গোলাম হায়দারে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসুচির (তৃতীয় পর্যায়) উপ পরিচালক মো. তৌহিদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পল্লিউন্নয়ন অফিসার মো. তাইবুর রহমান।
মো. তৌহিদুল হক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সমবায় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকার যুবকদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পর দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। যা দেশের বেকারত্ব নিরসন করে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখবে।
মো. গোলাম হায়দার বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ এই সেক্টরে প্রশিক্ষণ দিয়ে যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। এর পেছনে রয়েছে এখানকার শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও যারা এই প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকায় শতভাগ পাস। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনে কোথাও চাকরিতে গেলে এই প্রতিষ্ঠানের সনদ দেখে চাকরি ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধীকার পাবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে ৭০০ সদস্যের আবাসিক থাকা-খাওয়ার ব্যাবস্থা। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের দেশে এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে একটি উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরনেও ভূমিকা রেখেছে। একইভাবে সামনেও কাজ করার লক্ষ্যে বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বদ্ধপরিকর।
এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মাদারীপুর জেলার শিকার মঙ্গল গ্রামের আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি এই সেন্টার থেকে সেনিটারির কাজ শিখেছি।
সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।
আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।