বিদেশে পাচারকৃত ও চুরি হওয়া অর্থ দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে লজিস্টিক ও বিশেষজ্ঞ জনশক্তি দিয়ে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হেড অব ডেলিগেশন।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসাডর ও হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল।
কনভেনশন বাস্তবায়নে আমাদের পরিষ্কার রোডম্যাপ রয়েছে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে। এদের বেশির ভাগই তরুণ জনগোষ্ঠী। আমাদের লক্ষ্য তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করা এবং দেশের জন্য তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা।
’
নিত্যপণ্যের সরবরাহ চেইন সচল রাখাকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমে এসেছে। সরকার দাম কমাতে অনেক পণ্যের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে।’
ইইউয়ের অ্যাম্বাসাডর মাইকেল মিলার বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হলে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এলডিসি উত্তরণে মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানোয় গুরুত্ব : বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, ‘বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও পূর্বাভাস প্রদানের ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এলডিসি উত্তরণের পরিবর্তনে আমাদের ব্যাবসায়িক সংগঠন এবং মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।’
গতকাল সকালে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালার’ উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।