ভেঙে কোথাও খানাখন্দ। কোথাও ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টির পানি জমে বেহাল সড়ক। গর্তে চাকা আটকে প্রায়ই থমকে যাচ্ছে গাড়ি।
আবার মাঝেমধ্যে ভাঙা সড়কে চলতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে যানবাহন।
এই চিত্র গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম সালনা-জয়দেবপুর সড়কের। চার কিলোমিটার সড়কের করুণ দশার কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এই সড়ক দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি, দলিলের নকল উত্তোলনসহ নানা প্রয়োজনে গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সে যাতায়াতকারী লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই।
জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সালনা বাজার থেকে বিলাশপুর বটতলা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন নগরীর ছয়-সাতটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ অসংখ্য মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করে। তা ছাড়া মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজট সৃষ্টি হলে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো বিকল্প পথ হিসেবে এই সড়ক ব্যবহার করে। এর পাশেই শহরের মারিয়ালি এলাকায় গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্স।
জাইকার অর্থায়নে প্রায় চার বছর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন সড়কটি কার্পেটিংসহ সংস্কার করে।
ব্যস্ত এই সড়কে প্রতিদিন ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি, ব্যাটারির অটোরিকশাসহ অসংখ্য যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করে। যার দরুণ দুই বছর আগে বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। চলতি বর্ষায় পানি জমে সড়কটির অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সালনা বাসস্ট্যান্ড থেকে মারিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটি অনেক জয়গায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সাবরেজিস্ট্রি অফিস, দেশীপাড়া নতুনবাজার, দক্ষিণ সালনা মুন্সিবাড়ি, ফ্রেন্ডস নিটিং কারখানার সামনের অবস্থাও খুব নাজুক।
খানাখন্দে পড়ে যানবাহন উল্টে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গর্তে যানবাহন আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুর্দশার কারণে যানবাহন চলাচলও হ্রাস পাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
মারিয়ালি এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক বাদল বলেন, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস এবং সদর উপজেলা ও যুগ্ম সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যাতায়াতকারী লোকজনের দুর্ভোগের শেষ নেই। সিটি করপোরেশনকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
দেশীপাড়া এলাকার স্কুল শিক্ষক ফয়েজউল্লাহ বাবু জানান, সড়কটির পাশে ড্রেন না থাকায় আশপাশের মহল্লার বাসাবাড়ি, কলকারখানাসহ উঁচু জায়গার পানি সড়কের ওপর দিয়েই প্রবাহিত হয়। এতে অনেক জায়গায় পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, ৪ ও ৫ নম্বর জোনের আওতায় সড়কটির উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ঠিকাদারও নিযুুক্ত হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।