জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিসহ অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে। পুনর্বাসন নিশ্চিত না করে তাদের উচ্ছেদ করা অধিকার হরণের শামিল।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে ‘জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটি এবং দলিত, হিজড়া ও অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত থিমেটিক কমিটি’র সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনগ্রসর, অবহেলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভূমি ও বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিতপূর্বক জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে দলিত জাতিগোষ্ঠীর ভূমি, বাসস্থান, কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকার বিদ্যমান সমস্যা ও জটিলতা দূর করে টেকসই সমাধানে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া তাদের সব রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক সুবিধার অভিগম্যতা দ্রুত নিশ্চিত করাও আমাদের কর্তব্য।’
সুবিধাবঞ্চিত হিজড়া ও লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর ধারণা দূর করতে হবে এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
শিক্ষাব্যবস্থা এবং পাঠ্যবইতে এই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণে সহায়ক হবে।
ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিষয়ে সমাজের মানুষের ধারণাগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সামাজিক সচেতনতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণে আমাদের জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোর প্রশিক্ষণে বিষয়টি সম্পৃক্ত হলে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে।
’