<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় উপকূল অঞ্চলে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত, জরুরি বিভাগে জনবল নিয়োগ, প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখাসহ ১১ নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে সব অ্যাম্বুল্যান্স। এ ছাড়া উপকূলবর্তী বিভাগগুলোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">দীর্ঘ উপকূলরেখা থাকা চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের নিয়ে এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে গত শনিবার বিকেলে এই ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে গতকাল অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা</span></span></span></b></span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সভায় মহাপরিচালকের নিজস্ব নির্দেশনা ছাড়াও ১১ দফা দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নির্দেশনা আকারে সেগুলো কর্মকর্তাদের জানানো হয়। সেগুলো হলো : ১. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে। জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করতে হবে। ২. উপকূলবর্তী জেলায় খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ-প্রতিষেধক ওষুধ ও উপকরণ পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে হবে। ৩. প্রয়োজনীয়সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কাটা রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখতে হবে। ৪. উপকূলবর্তী এলাকায় মাঠকর্মীদের (স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য) মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলে পরিদর্শন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ৫. কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। ৬. যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীর নৈমিত্তিক ছুটি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার ট্রেনিং পিছিয়ে ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সময়ে আয়োজন করতে হবে। ৭. চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। ৮. স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাম্বুল্যান্সগুলো প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে। ৯. ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সগুলো মেডিক্যাল টিম এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে। ১০. নিয়ন্ত্রণকক্ষ সর্বক্ষণ চালু রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণকক্ষের জরুরি হটলাইন নম্বর ০১৭৫৯১১৪৪৮৮। ১১. জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p>